জাতীয় কবির সমাধির পাশে সমাহিত হলেন ওসমান হাদি
প্রকাশিত : ১৬:২৬, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশেই তাকে দাফন করা হয়।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তাকে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
বিকেল তিনটায় হাদির লাশ বহনকারীর অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পৌঁছায়। বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে হাদির মরদেহ ফ্রিজার ভ্যান থেকে কবর দেওয়ার উদ্দেশ্যে বের করা হয়। এরপর বিকেল ৩টা ২২ মিনিটের দিকে পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধারা তার দাফন সম্পন্ন করেন।
এর আগে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে তার জানাজা শুরু হয়। লাখো মানুষের অংশগ্রহণে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার নামাজ পড়ান তার বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
জানাজাস্থল ও টেলিভিশনে যারা সরাসরি দেখেছেন তাদের বেশিরভাগই অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন।
এদিকে, জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন তিন বাহিনীর প্রধানরাও। এছাড়া বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বিভিন্ন দলের নেতারাও জানাজায় অংশ নেন।
শহীদ ওসমান হাদির জানাজা ঘিরে সকালে থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে এসে জড়ো হতে থাকেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। সকাল সাড়ে ১০টায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাধারণ জনতাকে দক্ষিণ প্লাজায় প্রবেশের অনুমতি দেন। আর্চওয়ে গেট দিয়ে ছাত্র-জনতা দক্ষিণ প্লাজায় প্রবেশ করেন।
গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে রিকশায় থাকা হাদির মাথায় গুলি করে মোটরসাইকেলে আসা এক সন্ত্রাসী। ৬ দিন পর গত বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর থেকে শহীদ ওসমান হাদির মরদেহ দেশে আনা হয়।
এএইচ
আরও পড়ুন










