জাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা
প্রকাশিত : ১০:৫৪, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ২০ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে মার্কেটিং বিভাগের ৪৭ ব্যাচের (২০১৭-১৮ সেশন) শিক্ষার্থী আরিফুজ্জামান উজ্জ্বলকে আহ্বায়ক এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৯ ব্যাচের (২০১৯-২০ সেশন) শিক্ষার্থী তৌহিদ সিয়ামকে সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলনে কমিটি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আরিফ সোহেল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।
কমিটিতে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ইমরান শাহরিয়ার। যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন নাসিম আল তারিক ও ফারহানা বিনতে জিগার ফারিনা।
এছাড়াও সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ। যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে নাহিদ হাসান ইমন ও ইমরান হোসেন রাহাত এবং মুখ্য সংগঠকের দায়িত্ব পেয়েছেন নাকিব আল মাহমুদ অর্ণব। সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন জান্নাত উল ফিরদাউস আঞ্জুম ও মোহাম্মদ রায়হান। মুখপাত্র হিসেবে রয়েছেন মালিহা নামলাহ।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- নাফিজ উর রহমান, কাউসার আল আরমান, তানভীর আহমেদ শিহাব, মার্যিউর রহমান চৌধুরী, রাঈদ হোসেন এবং গালিব হাসান।
কমিটির উপদেষ্টা সদস্য হিসেবে রয়েছেন আরিফ সোহেল ও মেহেরাব সিফাত।
আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সাথে কিরূপ সম্পর্ক হবে এমন প্রশ্নের জবাবে সদস্য সচিব তৌহিদ সিয়াম বলেন, জাহাঙ্গীরনগরে আমরা ইতোমধ্যে ফ্যাসিবাদের প্রশ্নে ১০ দলের সমন্বয়ে ঐক্যের ডাক দিয়েছি। এটা অবশ্যই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একটি গুরুত্বপুর্ণ কাজ। জাবিতে ফ্যাসিবাদী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ থাকবে। এতদিন অর্গানোগ্রাম না থাকায় আমাদের কাজের ধীরগতি ছিলো। ফ্যাসিবাদ প্রশ্নসহ সংস্কার ও ক্যাম্পাসকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর জন্য আমরা নতুন উদ্যমে নিরলসভাবে কাজ করে যাব।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পাল্টাপাল্টি কমিটি দেয়ার প্রশ্নে কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলেন, কোথাও কমিটি দিতে হলে কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন লাগে। এর বাইরে কেউ যদি নিজেদের দাবি করে বসে তাহলে তার কোন সুযোগ নেই। এখানে পাল্টাপাল্টি কমিটি ঘোষণার কোন অবকাশ নেই।
সম্প্রতি ছাত্রদলের ছাত্রশিবির ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দাওয়াত না পাওয়ার কারণ সম্পর্কে আরিফ সোহেল বলেন, তারা দাওয়াত না দেয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন আমরা কোন রাজনৈতিক দল না। এছাড়া আমাদের কার্যক্রম নিয়ে তারা কিছু মন্তব্য করেছে। তবে আমরা মনে করি, জাতীয় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত হোক যেখানে সকলে সকলের রাজনৈতিক আদর্শ চর্চা করবে। এ দুটি জিনিস যদি ঠিক থাকে, তাহলে আমাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হওয়ার কোন কারণ নেই।
তিনি আরও বলেন, দ্বিমত মানে দূরত্ব নয়। দ্বিমত খুবই স্বাভাবিক ও মানবিক একটি বিষয়। বর্তমানে বাংলাদেশে যে বিভিন্ন মতের স্ফূরণ ঘটছে, এটাকে আমরা পিজিটিভলি নিচ্ছি। এটাই গণতান্ত্রিক পরিবেশের বৈশিষ্ট্য। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এবং গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পরিবেশ এ দুটি জায়গায় আমরা সকল রাজনৈতিক দল একই জায়গায় আছে বলে মনে করি।
এএইচ
আরও পড়ুন