ঢাকা, শুক্রবার   ০২ মে ২০২৫

জারে সরবরাহ করা পানির ৯৭ শতাংশই দূষিত(ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:১৩, ৩১ মার্চ ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

রাজধানী ও আশপাশে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে ওঠেছে জারে পানি সরবরাহের শত শত প্রতিষ্ঠান। সাধারণ মানুষ টাকা দিয়ে জারের পানি কিনে খেলেও এর মান নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের গবেষণায় দেখা গেছে, জারে সরবরাহ করা পানির ৯৭ শতাংশই দূষিত। এমন তথ্য জনসমক্ষে আসার পর নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বিএসটিআই শুরু করেছে তোড়জোড়।

এ’ বিষয়ে বিস্তারিত থাকছে রাত ১০টায় একুশের চোখ অনুষ্ঠানে।

গেলো শতকের নব্বইয়ের দশকে বিশুদ্ধ পানির নামে দেশে বোতলজাত, বিশেষ করে জারের মাধ্যমে পানি সরবরাহ শুরু হয় দেশে। বিগত তিন দশক ধরে দেশে মানসম্পন্ন পানির পাশাপাশি নাম-পরিচয়হীন অনেক প্রতিষ্ঠানও পানি সরবরাহ করছে। হোটেল, অফিস, রাস্তার পাশের দোকান থেকে শুরু করে, অনুষ্ঠান, বাসা-বাড়ীতে এ’সব খাবার পানি প্রচুর পরিমানে ব্যবহৃত হচ্ছে।

ঢাকাসহ সারাদেশে বিএসটিআই’র অনুমোদিত পানির কারখানা দুই শতাধিক। তবে, বাস্তবে এই সংখ্যা কয়েকগুণ। আইন বা নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বাসা বাড়ির মধ্যে, দোকান ঘরে ওয়াসা বা চাপ কলের পানি জারে ভরে বাজারে ছাড়ছে এক শ্রেণীর অতি মুনাফালোভী মানুষ।

পানি নিয়ে রাজধানীবাসীর অভিযোগ দীর্ঘদিনের। কিন্তুু, অনেকটা নিরুপায় হয়েই পান করতে হচ্ছে এই পানি।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা জারের পানি নিয়ে গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল-বিএআরসি গবেষণা করে। সেখানে দেখা যায়, ঢাকার বাসাবাড়ি, অফিস-আদালতে সরবরাহ করা শতকরা ৯৭ ভাগ জারের পানিতে ক্ষতিকর মাত্রায় মানুষ ও পশু-পাখির মলের জীবাণু ‘কলিফর্ম’ ও ‘ফিকাল কলিফর্ম’ রয়েছে।

এছাড়া, বোতল জাত পানিতেও ধরা পড়ে বিভিন্ন সমস্যা। মিল পাওয়া যায়নি পানির বোতলে লেখা বিভিন্ন উপাদানের।

গবেষণার এই ফল প্রকাশের পরপরই র‌্যাব ও বিএসটিআই যৌথভাবে শুরু করে অভিযান। কয়েক মাসে প্রায় ৬০টি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়।

প্রাণ রক্ষার জন্য যে পানি, তা নিরাপদ রাখতে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি সবার।

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি