ঢাকা, রবিবার   ০৩ আগস্ট ২০২৫

ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সদ্ব্যবহারে সরকার তৎপর : প্রধানমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:৫৫, ২৭ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ১৯:০৪, ২৭ জুলাই ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

বাংলাদেশের ৪৯ শতাংশ মানুষের বয়স এখন ২৪ বছর বা তার নিচে। তরুণ জনগোষ্ঠীর এই সুবিধা বা ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সদ্ব্যবহারের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন,  উন্নত দেশসমূহে ক্রমেই কর্মক্ষম জনসংখ্যা কমে যাওয়া বাড়ছে নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা। কোনো কোনো দেশ বয়স্ক মানুষের দেশ হিসেবে পৃথিবীতে চিহ্নিত হয়ে গেছে। ওই সকল দেশ জনমিতির সুবিধাজনক অবস্থানের দেশসমূহের কর্মক্ষম জনশক্তির উপর ক্রমেই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন স্কিলস ফর দ্য ফিউচার ওয়ার্ল্ড অফ ওয়ার্ক অ্যান্ড টিভিইটি (টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভোকেশনাল এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং) ফর গ্লোবাল কম্পিটিটিভনেস’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশের জনসংখ্যা নিয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে পারলে জনশক্তিই হবে দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বৈশ্বিক জনমিতির সর্বোচ্চ সুবিধাজনক অবস্থানে বাংলাদেশ। আমাদের সরকার এই সুবর্ণ সুযোগকে কাজে লাগাতে তৎপর। ইতোমধ্যে মানবসম্পদ তৈরির বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। দক্ষ ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনই সরকারের মূল উদ্দেশ্য।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব কর্মব্যবস্থায় শতকরা ৯৩ থেকে ৯৪ ভাগ কর্মী থাকেন নিম্ন থেকে মধ্যম স্তরের। তাই পরিবর্তিত বিশ্ব ব্যবস্থায় উন্নয়ন, উৎপাদন ও সমৃদ্ধির জন্য এই স্তরের জনশক্তি তৈরিতে মনোনিবেশ করতে হবে। আর সেজন্য টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভোকেশনাল এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিংকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।

‘দক্ষ জনশক্তিই একটি দেশ ও জাতির সামষ্টিক উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে সক্ষম। জ্ঞানভিত্তিক দক্ষতা ও প্রায়োগিক দক্ষতার সমন্বয়ে মানবসম্পদ উন্নয়নে শিক্ষাকে ঢেলে সাজাতে হবে।”

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ নমুনা জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১৬ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার মানুষের বসবাস। আর ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতির শহর।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রীক্ষমতায় আসার আগে দেশে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় মোট শিক্ষার্থীর হার ছিল মাত্র শতকরা ১.৮ ভাগ থাকলে বর্তমানে তা ১৪ ভাগে উন্নীত করার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।

কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় ২০২০ সালে মোট শিক্ষার্থীর শতকরা ২০ ভাগ, ২০৩০ সালে ৩০ ভাগ এবং ২০৪০ সালে ৫০ ভাগে উন্নীত করাই তার সরকারের লক্ষ্য বলে শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন।

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে ক্ষতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগাম বন্যায় এবারে হাওর অঞ্চলের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে উজানের ঢলের পানিতে বাংলাদেশের বিস্তৃর্ণ অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। পাহাড় ধসে ব্যাপক জানমালের ক্ষতি হয়েছে। আমাদের সরকারের দক্ষ ব্যবস্থাপনায় এসব দুর্যোগ সফলভাবে মোকাবিলা করতে পেরেছি এবং করে যাচ্ছি।

প্রকৌশলীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের দক্ষতা, কর্মনিষ্ঠা ও সততার উপর নির্ভর করছে সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন। কাজের সঠিক মান নিয়ন্ত্রণে আপনারা কোনভাবেই আপস করবেন না; এটাই আমার অনুরোধ।

ইন্সটিটিউট অফ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ও ম্যানিলাভিত্তিক আন্তঃদেশীয় রাষ্ট্রীয় সংস্থা কলম্বো প্ল্যান স্টাফ কলেজ (সিপিএসসি) যৌথভাবে তিন দিনের এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে।

ডব্লিউএন

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি