ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৮ জুলাই ২০২৫

ড্রপ আউট পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ মিছিল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩০, ১৩ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১৮:০৪, ১৪ জুলাই ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা ড্রপ আউট পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় ড্রপ আউট পদ্ধতি বাতিল করে ক্যারি অন পদ্ধতি চালুকরণসহ  চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে তারা।

তাদের দাবিগুলো হলো-

(১) কোন শিক্ষার্থী অসুস্থতজনিত কারণে পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারলে বা তিনটির অধিক বিষয়ে অকৃতকার্য হলেও তাকে পরবর্তী সেমিস্টারে উত্তীর্ণের সুযোগ দিতে হবে।

(২) অকৃতকার্য বিষয়সমূহ শর্ট সেমিস্টারে অংশগ্রহণ করে পূরণ করার সুযোগ দিতে হবে।

(৩) শর্ট সেমিস্টার বা মানোন্নোয়নের জন্য একজন শিক্ষার্থী নির্দিষ্ট ফি প্রদান করে ইমপ্রুভ যেন দিতে পারে সে সুযোগ দিতে হবে। ইমপ্রুভে যে যত মার্ক পাবে তাকে তত মার্ক  দিতে হবে।

(৪) চূড়ান্ত পরীক্ষার পর অনধিক এক মাসের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করতে হবে ।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা কোর্স কারিকুলামে সংশোধনী আনতে চার কার্য দিবস সময় বেধে দিয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়েছি। গতকাল বুধবার তার মেয়াদ শেষ হয়ে যায় এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কোন সমাধান না পেয়ে আমরা আজ আবারো আন্দোলন শুরু করেছি।

তারা বলেন, আমাদের এই যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আমরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাব।

তারা অভিযোগ করে বলেন, যেখানে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অসুস্থতা জনিত কারণে পরীক্ষায় অংশ না নিতে পারলে বা ৩টি বিষয়ে অকৃতকার্য হলে ক্যারি অনের সিস্টেম আছে সেখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কেন সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকবে?

তাছাড়া আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ফলাফল প্রকাশ করতে অনেক দেরী করে যার কারণে একজন শিক্ষার্থীকে চাকরির সার্কুলার থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে সমস্যার স্মমুখীন হতে হয় ।

আমরা আশা করব প্রশাসন অনতিবিলম্বে আমাদের এই যৌক্তক দাাবিগুলো মেনে নিয়ে আমাদের ক্লাস পরীক্ষায় ফিরে যাওয়ার সুযোগ করে দিবেন । এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. তারিকুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এ ব্যাপারে একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে।

তারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে আমাদের যে তথ্য উপাত্ত দিবে তার উপর ভিত্তি করে একাডেমিক কাউন্সিলে উত্তোলন করা হবে। উত্তোলনের পর সেটা  যদি যোক্তিক হয় তাহলে তা বাস্তবায়নের জন্য আমাদের জোর  সুপারিশ থাকবে ।

এবিষয়ে জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. সফিউল আলম বলেন, একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আর যেহেতু এটা অনেক দিন ধরে চলে আসছে তাই হঠাৎ করে পরিবর্তন করতে গেলে কিছু প্রক্রিয়া ও সময়ের দরকার হবে। আমাদেরকে সে সময়টুকু দিতে হবে। যদি আমাদেরকে সময় না দিয়ে শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি চালিয়ে যায় তাহলে সেটা তাদের বিষয় ।

এমএইচ/ টিআর/  


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি