ঢাকা, শনিবার   ০৪ মে ২০২৪

তিতলি: ১৯ জেলায় সরকারি চাকুরেদের ছুটি বাতিল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:০২, ১১ অক্টোবর ২০১৮

ভারতীয় উপকূলে আঘাত হানার পর ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ দুর্বল হয়ে পড়লেও সতর্কতা হিসেবে দেশের ঝুঁকিপূর্ণ ১৯ জেলার সব করকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সেই সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলায় ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এমনটিই জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।  

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’উপলক্ষে সার্বিক পরিস্থিতি ও প্রস্তুতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

ত্রাণ মন্ত্রী বলেন, ‘আল্লাহর কাছে শুকরিয়া যে ঘূর্ণিঝড়টি সকালে ভারতের আঘাত হেনে দুর্বল হয়ে পড়েছে। আমাদের এখানে আঘাত হানার আশঙ্কা ছিল। সেই আশঙ্কা কেটে গেছে। তিততি নিয়ে আর কোনো আশঙ্কা নেই। তবু ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলায় আমাদের সব প্রস্তুতি নেওয়া আছে।

ত্রাণমন্ত্রী বলেন, তিতলি ভারতীয় উপকূলে আঘাত হানার পর দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই ঘুর্ণিঝড় থেকে বাংলাদেশের আর ভয়ের কোনো কারণ নেই। তবে, তিতলির আঘাতের ১৯টি জেলা আক্রান্তের আশঙ্কা ছিল। এসব জেলায় সব ধরণের প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। ওইসব জেলার সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি নিয়ে তিনি বলেন, ঝড় মোকাবেলায় সব প্রস্তুতি নেওয়া আছে। উপকূলীয় জেলাগুলোয় স্থাপন করা হয়েছে কন্ট্রোল রুম, মজুত রয়েছে পর্যাপ্ত খাদ্য।

পরিস্থিতি মোকাবেলায় ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রাখা হয়েছে জানিয়ে মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘তিতলি’সব জেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় স্থানীয় জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীকাকুলাম জেলায় আঘাত হানার সময় ‘তিতলি’র গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত। অন্ধ্রে প্রলয়কাণ্ড চালিয়ে উত্তরের দিকে এসে উড়িষ্যার গানজাম জেলায় আছড়ে পড়ার সময় এর তীব্রতা কিছুটা কমে যায়। সেসময় এর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০২ কিলোমিটার পর্যন্ত।

তিতলি আগামীকাল শুক্রবার নাগাদ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ অতিক্রম করবে। তবে ততক্ষণে সেটি নিম্নচাপ বা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে।

আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, স্থলভাগে এসে ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমেই দুর্বল হচ্ছে। তাই আশা করা করা যাচ্ছে, বাংলাদেশ পর্যন্ত পৌঁছে এই ঝড়ের তীব্রতা অনেকটাই প্রশমিত হবে। তবে এর প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে এবং উপকূলীয় অঞ্চলে ভারি বর্ষণ হচ্ছে। এটি আরও দু’একদিন অব্যাহত থাকবে।

 ‘তিতলি’ দুর্বল হয়ে পড়ায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে এর পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়েও থাকতে বলা হয়েছে আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে।

/ এআর /

 এ সংক্রান্ত আরো খবর

দুর্বল হয়ে পড়েছে তিতলি, প্রভাব পড়ছে না বাংলাদেশে


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি