ঢাকা, বুধবার   ২২ মে ২০২৪

‘তিনগুণ ধূলিদূষণ হয় রাজধানীতে’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:০৮, ৯ জুলাই ২০১৭

শুষ্ক মৌসুমে রাজধানীতে মাত্রার চেয়ে তিনগুণের বেশি ধূলিদূষণ হয় বলে জানিয়েছেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালায় ধূলিদূষণের মানমাত্রা যেখানে সর্বোচ্চ ১৫০(ইউজি/এম৩), সেখানে শুষ্ক মৌসুমে ঢাকা শহরের ধূলিদূষণের মাত্রা ৪৯৯ (ইউজি/এম৩)। রোববার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে সরকার দলের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

পরিবেশ ও বনমন্ত্রী জানান, নরওয়েজিয়ান ইনস্টিটিউট ফর এয়ার রিসার্চের (এনআইএলইউ) সহায়তায় পরিচালিত গবেষণার ফলাফলে এ তথ্য উঠে এসেছে।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিবেশনের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্বে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আরো জানান, ঢাকা শহরের ধূলিদূষণের অন্যতম কারণ হচ্ছে পার্শ্ববর্তী এলাকার বিদ্যমান ইটভাটা (৫৮ শতাংশ), খোলা অবস্থায় নির্মাণ কার্যক্রম পরিচালনা (১৮ শতাংশ) ও যানবাহন (১০ শতাংশ)।

লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের এ কে এম শাহজাহানের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন জানান, পানিদূষণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানের কারণে দেশে ইটিপি ব্যবহারকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১ হাজার ৫৫৩টিতে উন্নীত হয়েছে, যা এ পর্যন্ত শনাক্ত করা পানিদূষণকারী মোট শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ৯০ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

মন্ত্রী জানান, পরিবেশদূষণ রোধে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০১৭, ওয়েস্ট বিধিমালা ২০১৭ ও পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ২০১৭ এবং জাতীয় পরিবেশনীতি ২০১৭-এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে।

মন্ত্রী আরও জানান, গত ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ২০১৬-১৬ অর্থবছর পর্যন্ত ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ৫০১টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যার মধ্যে ২১৩টি প্রকল্প সফলভাবে সমাপ্ত হয়েছে।

আরকে/ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.





© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি