তিস্তায় ‘ভাসানী সেতু’ উদ্বোধন, যোগাযোগে নতুন দিগন্ত উন্মোচন
প্রকাশিত : ১৬:০২, ২০ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১৬:২৮, ২০ আগস্ট ২০২৫

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পাঁচপীর বাজার-কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা সদর সড়কে তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত ‘মওলানা ভাসানী সেতু’ উদ্বোধনের পর চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যদিয়ে উত্তরাঞ্চলে যোগাযোগে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো।
আজ বুধবার (২০ আগস্ট) সেতুটি উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
উদ্বোধনের পরপরই মোনাজাত করেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মুফতি মো. ওমর ফারুক। এরপর সেতুর সুন্দরগঞ্জের হরিপুর প্রবেশমুখে ফিতা কেটে সেতুর দ্বার খুলে দেওয়া হয়।
এসময় গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এলজিইডির কর্মকর্তা ও সেতু নির্মাণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ উপদেষ্টার সফর সঙ্গীরা উপস্থিত ছিলেন।
৯২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১৪৯০ মিটার দীর্ঘ এবং ৯.৬০ মিটার প্রস্থের এই প্রি-স্ট্রেসড কংক্রিট গার্ডার সেতুটির লেন সংখ্যা দুটি এবং মোট স্প্যান সংখ্যা ৩১টি। সেতুটি নির্মাণে অর্থায়ন করেছে বাংলাদেশ সরকার (জিওবি), সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওফিড)।
সেতুর উদ্বোধনের ফলে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সঙ্গে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার সরাসরি যোগাযোগের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো। স্বল্প সময় ও খরচে শিল্প ও কৃষিজাত পণ্য পরিবহন সহজ হবে। পাশাপাশি ছোট ও মাঝারি শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠার সুযোগ তৈরি হবে।
স্থানীয়দের মতে, এ সেতু ঘিরে এলাকায় শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। পর্যটন খাতেও নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলবে।
অন্যদিকে, রাজধানী ঢাকাসহ দক্ষিণাঞ্চলের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানের সঙ্গে ভুরুঙ্গামারী স্থলবন্দর হয়ে কুড়িগ্রামের যোগাযোগ দূরত্ব ৪০-৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত কমে আসবে। ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে এ সেতু গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এএইচ
আরও পড়ুন