ঢাকা, রবিবার   ০৩ আগস্ট ২০২৫

দাম বাড়ায় গরুর মাংসের চাহিদা কমেছে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:৩৬, ২৯ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ১৬:৩৭, ৩০ জুলাই ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

দাম বাড়ার কারণে বর্তমানে গরুর মাংসের চাহিদা কমে গেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ইমরান হোসেন, মহাসচিব শাহ ইমরান, সহ-সভাপতি আলি আজম শিবলী, যুগ্ম সচিব নাসিম উল্লাহ প্রমুখ।

সংগঠনটি জানায়, গরুর মাংসের দাম বাড়ায় আশঙ্কাজনক হারে বিক্রি কমেছে। গত বছর এক কেজি গরুর মাংসের দাম ছিল ৪শ’ টাকার কাছাকাছি। এখন দাম বেড়ে ৫শ’ টাকার কাছিকাছি হয়েছে। এই দামে আমাদের দেশের একটি বড় জনগোষ্ঠীর পক্ষে গরুর মাংস খাওয়া সম্ভব না।

সংগঠনটির সভাপতি মো. ইমরান হোসেন বলেন, সরকার যদি বাজার মনিটরিং জোরদার করে এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে পারে তবে গরুর মাংসের দাম ৪শ’ টারা নিচে আসবে।

 তিনি বলেন, মাংসের দাম বাড়ায় খামারিরা বেশি মুনাফা করছেন এমন নয়। বর্তমানে পশুর খাদ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় এই দাম বাড়ার কারণ। সিন্ডিকেট করে একশ্রেণির ব্যবসায়ী গোখাদ্যের দাম বাড়িয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বর্তমানে পশুর খাদ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। বাজারে ৫০ কেজির এক বস্তা কুড়ার দাম ১১শ’ টাকা থেকে ১২শ’ টাকা। ভূষির দাম ১২শ’ টাকা থেকে ১৩শ’ টাকা, যা আগে বিক্রি হতো সাড়ে ৪শ’ টাকায়। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে এসব খাদ্যের দাম বাড়িয়েছে।

সংগঠনটি জানায়, আসন্ন ঈদুল আজহার কোরবানির পশুর চাহিদা সম্পূর্ণভাবে দেশীয় পশু দিয়ে পূরণ করা সম্ভব। ২০১৬ সালে পশু কোরবানি হয় ১ কোটি ৪ লাখ ২ হাজার। এর মধ্যে গরু-মহিষ ছিল ৪৮ লাখ ২০ হাজার এবং ছাগল-ভেড়া ছিল ৫৫ লাখ ৮২ হাজার। এসব কোরবানির পশুর ৯০ শতাংশেরই যোগান ছিল দেশীয়ভাবে।

আর/ডব্লিউএন

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি