ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪

ধর্মীয় উগ্রবাদ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন বিশ্ব সিন্ধি কংগ্রেস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:৫৬, ১৮ মার্চ ২০২৪

আফ্রিকা ও এশিয়ার ধর্মীয় চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত সিম্পোজিয়ামে অংশ নিয়েছিলেন বিশ্ব সিন্ধি কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক লাখু লোহানা। পাকিস্তান কীভাবে পদ্ধতিগতভাবে তার জনগণের মধ্যে ধর্মীয় সহিংসতা উস্কে দেয় তার জটিল বিবরণ এই অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হয়েছিল।

সংবাদ সম্মেলনে লোহানা বলেন, সারা বিশ্বে ধর্মীয় উগ্রবাদ ও সহিংসতাকে সমর্থন করে এমন বেশ কয়েকটি ফ্যাক্টর, স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী, সহায়তাকারী, ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থধারী রয়েছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের মতো এত বেশি এবং কার্যকারিতা নিয়ে বিশ্বের আর কোনো দেশ এটিকে ব্যবহার করে না। এটা ৭০ বা ৮০ এর দশকে শুরু হয়নি, এটা প্রথম দিন থেকেই শুরু হয়েছিল। যখন আমাদের নেতারা সিন্ধু, পশতুন এবং বেলুচকে পৃথক জাতি বলে দাবি করার জন্য লড়াই করেছিলেন। আর সিন্ধি, বেলুচি, পাখতুনের মতো ভাষাগুলো আমাদের মাতৃভাষা। তারা (পাকিস্তানি প্রশাসন) বলেছিল, না, এরা কাফের, এরা ইসলাম বিরোধী এবং এদের ফাঁসি হওয়া উচিত। তাই তারা (মুক্তিযোদ্ধারা) বছরের পর বছর কারাগারে কাটিয়েছেন।

তিনি আরও বলেছেন যে, সময়ের সাথে সাথে এই মতাদর্শটি আরও শক্তিশালী এবং মারাত্মক হয়ে উঠেছে। অন্য কোনো দেশ ধর্মীয় চরমপন্থাকে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিকভাবে রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে ব্যবহার করে না। অভ্যন্তরীণভাবে তারা আমাদের বিরুদ্ধে এটি ব্যবহার করে এবং বাহ্যিকভাবে তারা তাদের ভূকৌশলগত স্বার্থ অনুসারে এটি ব্যবহার করে। সময়ের সাথে সাথে তারা বেশ কয়েকটি অত্যন্ত হিংস্র এবং বিষাক্ত সংগঠন তৈরি করেছে এবং তারা তাদের সমর্থন করে। এই বিষয়টা পুরো বিশ্ব জানে। তারা হাজার হাজার মাদ্রাসাকেও ব্যবহার করে যারা ধর্মীয় উগ্রবাদকে ব্যবহার করে এই শিক্ষা প্রচার করে। তারা লক্ষ লক্ষ জম্বি তৈরি করেছে যারা হত্যা এবং মরতে প্রস্তুত।

ব্লাসফেমির আশঙ্কা তুলে ধরে লোহানা ওই নারীর পোশাকে আরবি লেখা এবং ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার রায় দেওয়া নির্যাতনের ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, সমাজ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিকশিত হয়, পার্থক্য থাকে, তারপর মানুষ বুঝতে পারে এবং একসঙ্গে বসবাস করে।

ভারতের উদাহরণ হিসেবে ভারতকে ধরুন, তারা একটি সামাজিক কাঠামো তৈরি করেছে এবং তারা একসাথে বাস করে। অন্যদিকে তারা (পাকিতান) ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ধ্বংস করেছে, প্রতিটি দিন তাদের জন্য দুঃস্বপ্ন, তারা নির্যাতন আতঙ্কের পরিবেশে বসবাস করছে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি ও গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, রাষ্ট্র পরিকল্পিতভাবে যেসব কৌশল তৈরি করেছে, সেগুলো আমাদের বক্তৃতায় মুছে ফেলা যাবে না। এবং গুরুতর প্রচেষ্টার প্রয়োজন রয়েছে এবং কেবল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ই সেই প্রচেষ্টা করতে পারে।

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি