নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন কিনা, স্পষ্ট করলেন ড. ইউনূস
প্রকাশিত : ১৭:৩৯, ১৫ আগস্ট ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেয়া বা আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কোনো ইচ্ছা পুষে রাখেননি। ‘না, আমি রাজনীতিতে যোগ দেয়ার কোনো সুযোগ বা আগ্রহ নেই,’ নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা বারনামাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে, যা তার সাম্প্রতিক সরকারি সফরের সময় অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাৎকারে বারনামার প্রধান সম্পাদক আরুল রাজু দূরার রাজ, আন্তর্জাতিক সংবাদ বিভাগের সম্পাদক ভুন মিয়াও পিং এবং অর্থনৈতিক সংবাদ বিভাগের সহকারী সম্পাদক কিশো কুমারি সুসেদারামের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, তার বর্তমান দায়িত্ব হলো অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনকে সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে নেয়া।
২০২৪ সালের ৮ আগস্ট, ছাত্র-জনতার নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসন পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য শপথ বাক্য পাঠ করান।
‘আমরা এক বছরের পথ পাড়ি দিয়েছি। আগস্টে আমাদের প্রথম বছর পূর্ণ হলো, আর এই সময়ে আমরা অনেক সাফল্য অর্জন করেছি,’ বলেন তিনি।
মূল অর্জনের মধ্যে তিনি উল্লেখ করেন ‘কনসেনসাস বিল্ডিং কমিশন’-এর গঠন, যা ১১টি সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে কাজ করছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো নির্বাচন সংস্কার, যার মাধ্যমে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য ভোট ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ড. ইউনূস জানান, মাসের শেষ নাগাদ কমিশনের প্রতিবেদন প্রস্তুত হবে। কমিশন রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংবেদনশীল বিষয়, যেমন সংসদ এক-কক্ষবিশিষ্ট হবে নাকি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট হবে, সেসব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করেছে এবং এসব আলাপচারিতা সারা দেশে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে।
তিনি বলেন, ‘এখন দেশ সঠিক পথে ফিরে এসেছে এবং আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন হবে বহু বছরের মধ্যে প্রথম গ্রহণযোগ্য ভোট। এর আগে টানা তিনটি নির্বাচন ছিল কারচুপি, বিতর্ক ও ভোটার দমনের অভিযোগে কলঙ্কিত।
‘বিগত নির্বাচনে কেউ ভোটকেন্দ্রে যায়নি। জনগণ জানতেও পারেনি ভোটকেন্দ্রে কী ঘটেছে। কিন্তু এবার তারা সত্যিকারের নির্বাচন দেখবে,’ মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ১২ কোটি ৬১ লাখ নিবন্ধিত ভোটার রয়েছে, যারা এ নির্বাচনের মাধ্যমে বহুদিন পর তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।
এসএস//
আরও পড়ুন