ঢাকা, শনিবার   ০১ নভেম্বর ২০২৫

নোবিপ্রবিসাসের বার্ষিক প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ২১:২১, ৩১ অক্টোবর ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (নোবিপ্রবিসাস) বাৎসরিক মুখপত্র ‘ফাউন্টেনপেন’-এর তৃতীয় সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জনাব মোহাম্মদ শফিকুল আলম।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর ) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি ভবনে এক আলোচনা সভা ও প্রকাশনা উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি প্রকাশনাটির মোড়ক উন্মোচন করেন।

উল্লেখযোগ্য এই আয়োজনটি ছিল নোবিপ্রবিসাসের এক যুগপূর্তি উদযাপনের অংশ। দিনব্যাপী নানা আয়োজনে উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয় সমিতির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।

এক যুগপূর্তি উপলক্ষ্যে বিকেলে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ র‍্যালির আয়োজন করা হয়। র‌্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‍্যালিতে সমিতির বর্তমান ও সাবেক সদস্য, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। র‍্যালি শেষে কেক কেটে এক যুগপূর্তি উদযাপন করা হয়।

এছাড়াও ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান প্রেক্ষাপট  ও পরবর্তী বাংলাদেশ’বিষয়বস্তু নিয়ে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক এবং নোবিপ্রবিসাসের উপদেষ্টা জনাব এ. এফ. এম. আরিফুর রহমান। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন নোবিপ্রবিসাসের সভাপতি জনাব মো. ইমাম হোসেন।আলোচনা সভায় বক্তারা সাংবাদিকতার দায়িত্ববোধ, নৈতিকতা ও সমাজে গণমাধ্যমের ইতিবাচক ভূমিকা নিয়ে মতবিনিময় করেন।

আলোচনা সভায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জনাব মোহাম্মদ শফিকুল আলম বলেন-“বাংলাদেশের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়েই সাংবাদিক ক্লাব রয়েছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার চর্চা করে। নোবিপ্রবির সাংবাদিকরাও জুলাই আন্দোলনের সময় সাহসিকতার সঙ্গে সংবাদ পরিবেশন করেছেন—যা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।”

তিনি আরও বলেন, “ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার ইতিহাস দীর্ঘ; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই এই ধারা শুরু। বর্তমানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ফেক নিউজ। এই ভুয়া সংবাদ প্রতিরোধে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক ক্লাবগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।”

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে সাংবাদিকতা আরো বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়ে গেছে।  এখন আমাদের দায়িত্ব অনেক গুন বেড়ে গেছে। একটা সময় ছিলো যখন সত্য নিউজ প্রকাশ করা সম্ভব ছিলো না কিন্তু এখন সময় এসেছে সত্যকে সামনে নিয়ে আসার এবং ন্যায় ভিত্তিক সাংবাদিকতার।

একই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বর্ষসেরা সাংবাদিক পুরস্কার প্রদান করা হয়।বর্ষসেরা অনুসন্ধানী সাংবাদিক হিসেবে পুরস্কার পায় আমার দেশের প্রতিনিধি নাহিদুল ইসলাম এবং আরটিভির প্রতিনিধি মো.রিয়াদুল ইসলাম। বর্ষসেরা বিশেষ প্রতিবেদন( প্রিন্ট) ক্যাটাগরিতে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার প্রতিনিধি মুস্তাকিম সাদিক এবং অনলাইন ক্যাটাগরিতে সময়ের কন্ঠস্বর প্রতিনিধি তৌফিক আল মাহমুদ। এবং ফিচার ক্যাটাগরিতে রাইজিং বিডির মো.শফিউল্লাহ।এবং বেস্ট কন্ট্রিবিউটর হিসেবে পুরস্কার পায় এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল তৌহিদ।

এমআর// 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি