পরকীয়ার অভিযোগে প্রবাসীর স্ত্রী ও গৃহশিক্ষককে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন
প্রকাশিত : ২০:৫৪, ২৫ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২০:৫৬, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার হরিণবাড়িয়া গ্রামে পরকীয়ার অভিযোগে এক প্রবাসীর স্ত্রী ও গৃহশিক্ষককে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে শারীরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকালে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি এ ঘটনা ঘটায়। ঘটনার একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হরিণবাড়িয়া গ্রামের গৃহশিক্ষক সমসের একই এলাকার এক প্রবাসীর বাড়িতে প্রাইভেট পড়ানোর সময় ওই গৃহবধূর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে সমসের ওই বাড়িতে প্রবেশ করলে স্থানীয় কয়েকজন যুবক ও কিছু ব্যক্তি ঘর ঘেরাও করে।
পরে তারা সমসের ও গৃহবধূকে ধরে বাড়ির বারান্দার খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখে এবং তাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায়।
প্রথমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া দুই মিনিট ২৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়— টিনশেড ঘরের দরজায় কয়েকজন কিশোর কড়া নাড়ছে। ঘরের ভেতর থেকে এক নারী জানতে চাইলে বাইরে থাকা কিশোররা নিজেদের পরিচয় দেয়। দরজা খোলামাত্র কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ঘরে প্রবেশ করে এবং কিছুক্ষণ পর গৃহবধূ ও এক যুবককে (গৃহশিক্ষক সমসের) টেনে বের করে।
আরেকটি চার মিনিট ৩০ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়— গৃহবধূ ও যুবককে বাড়ির বারান্দার বাঁশের খুঁটির সঙ্গে রশি দিয়ে হাত ও কোমর বেঁধে রাখা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত প্রায় অর্ধশত লোকের মধ্যে অনেক কিশোর ও যুবক ছিল।
ভিডিওতে দেখা যায়, কেউ কেউ ওই নারীর মাথার ওড়না সরিয়ে ফেলে এবং আহত গৃহশিক্ষককে অসুস্থ অবস্থায় ধরে রাখতে দেখা যায়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নির্যাতনের একপর্যায়ে আহত সমসেরকে একটি ভ্যানে করে কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। পরে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এদিকে, কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে শুক্রবার বিকেলে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। প্রবাসীর স্ত্রীকে পাওয়া গেলেও তিনি মুখ খুলতে অস্বীকৃতি জানান। গৃহশিক্ষক সমসেরকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর আগেই তিনি নিখোঁজ হন।
এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।
এএইচ
আরও পড়ুন










