ঢাকা, বুধবার   ০৯ জুলাই ২০২৫

বিবিসির কাছে ডন নির্বাহীর সাক্ষাৎকার

পাক রাজনীতিতে তোলপাড়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪৫, ১৯ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১২:৪৭, ১৯ জুলাই ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

বিবিসির কাছে দেওয়া পাকিস্তানের প্রধান ইংরেজি পত্রিকা-ডনের প্রধান নির্বাহী হামিদ হারুনের সাক্ষাৎকার নিয়ে পাকিস্তানের রাজনীতিতে তোলপাড় চলছে। নির্বাচনের মাত্র এক সপ্তাহ আগে হামিদ হারুন দেশটির রাজনীতি নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তাতেই বেশ কয়েকটি মহল তার উপর চটেছেন।

বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডনের নির্বাহী বলেন, পাকিস্তানের নিরাপত্তাবাহিনী দেশটির রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে। শুধু তাই নয়, সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খানকে জিতিয়ে দিতে সামরিক বাহিনী নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ তার। তবে হারুনের এই মন্তব্যের পরই গোটা পাকিস্তানে নিন্দার ঝড় উঠে।

ইমরান খানসহ দেশটির বেশ কয়েকটি দলের রাজনীতিকরা বলেন, ডন ও তার প্রধান নির্বাহী হারুন সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের প্রতি দুর্বল। আর নির্বাচনে নওয়াজ শরীফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগকে বিজয়ী করতে হারুন ও ডন পক্ষপাতিত্ব করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এদিকে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ঢালাও অভিযোগের প্রমাণ না দেওয়ায় অনেকেই তার সমালোচনা করেছেন।

উল্লেখ্য, আগামী ২৫ জুলাইয়েল নির্বাচন উপলক্ষে দ্য ডনের উপর বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। গত সোমবার সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে অল পাকিস্তান নিউসপেপারস’ সোস্যাইটির প্রধান হারুন বলেন, দেশটির সামরিক বাহিনী সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করে আসছে। এ ছাড়া সরকার ও সামরিক বাহিনীর ঊর্ধতন কিছু কর্তাব্যক্তি তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

পাকিস্তানের স্বাধীনতার পর থেকেই দেশটিতে সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ শুরু করে। বর্তমান অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে ওই সুবিধাভোগী সেনাকর্মকর্তারা দেশটির দ্বিতীয় সারির কোনো নেতাকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে চান। এর মাধ্যমে পাকিস্তানের রাজনীতি ও সরকারে সেনাবাহিনীর অবস্থান আরও সুদৃঢ় করার পরিকল্পনা তাদের। এদিকে হারুনের বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রধান ইমরান খান। ইমরান খান বলেন, ডনের পিটিআই বিরোধীতা স্পষ্ট হয়ে গেছে। তারা তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে।

এমজে/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি