পুলিশ পরিচয়ে অপহরণ, সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর খাদ্য পরিদর্শককে উদ্ধার
প্রকাশিত : ১০:২৩, ১৪ জুলাই ২০২৫

খুলনা মহানগরীর ৪ নম্বর ঘাট এলাকা থেকে অপহৃত খাদ্য পরিদর্শক সুশান্ত কুমার মজুমদারকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ পরিচয়ে অপহরণের সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর তাকে উদ্ধার করা হয়।
রোববার (১৩ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তেরখাদা উপজেলার আজগড়া বিআরবি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে হাত, পা এবং চোখ বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়ার পর ওই খাদ্য কর্মকর্তাকে খুলনা সদর থানায় রেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে ওই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে সুশান্ত কুমার মজুমদার নামের খাদ্য পরিদর্শককে পুলিশ পরিচয়ে হাতকড়া পরিয়ে অপহরণ করা হয়। পথচারীদের ধারণকৃত মোবাইলের ভিডিওতে এমনটি দেখা যায়।
তার মুক্তির জন্য পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে ওই চক্রটি। এ ঘটনায় খাদ্য বিভাগের ওই কর্মকর্তার স্ত্রী মাধবী রানী মজুমদার খুলনা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানায় এ অভিযোগটি দায়ের হলে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অভিযানে নামেন।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার সানওয়ার হোসাইন মাসুম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অপহৃতকে রাত সাড়ে ১২টায় উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে রাতে অপহৃত খাদ্য পরিদর্শকের স্ত্রী মাধবী রানী মজুমদার খুলনা থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, পুলিশের লোক পরিচয় দিয়ে মো. রেজা ও বাবু মণ্ডল নামের দুই ব্যক্তি এবং আরও তিনজন মিলে তার স্বামীকে হাতকড়া পরিয়ে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যান। ট্রলারে ওঠানোর পর মারতে মারতে তারা ট্রলার জেলখানা ঘাটের দিকে নিয়ে যান। অপহরণের পর তার ব্যবহৃত দুটি মুঠোফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। বাবু মণ্ডল এর আগে তাঁর স্বামীর কাছে একাধিকবার টাকা দাবি করেছিলেন। তবে সুশান্ত কুমার তাতে রাজি হননি।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার সানওয়ার হোসাইন মাসুম জানান, অপহরণের খবর পাওয়ার পর থেকে পুলিশের একাধিক ইউনিট অভিযান শুরু করে। পুলিশের তৎপরতায় আতঙ্কিত হয়ে অপহরণকারীরা সুশান্ত কুমারকে তেরখাদা উপজেলার আজপড়া গ্রামের বিআরবি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ফেলে রেখে যায়।
পরে তেরখাদা থানার পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সুশান্ত কুমার মজুমদার ৪ নম্বর ঘাটের খাদ্য পরিদর্শক ও ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অপহরণের পর থেকে সুশান্ত কুমার মজুমদারের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর দুটি বন্ধ পাওয়া যায়।
কেএমপির উপপুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি) আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান জানিয়েছেন, রাত সাড়ে বারোটার দিকে অপহৃত খাদ্য পরিদর্শক সুকান্ত কুমার মজুমদারকে উদ্ধার করেছে খুলনা থানা-পুলিশ।
এএইচ
আরও পড়ুন