ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

পোল্যান্ডকে উড়িয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:২৯, ৪ ডিসেম্বর ২০২২

বিশ্বচ্যাম্পিয়নের মতোই খেললো ফ্রান্স। পোল্যান্ডের গোল লক্ষ্য করে একের পর এক আক্রমণ হলো। প্রথমার্ধে অলিভিয়ের জিরুদ একটি ও দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া গোল করলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। শেষ মুহূর্তে লেভানডোস্কি পেনাল্টি থেকে একটি গোল করলেও ম্যাচ জিততে কোনও সমস্যা হয়নি ফ্রান্সের। 

পোল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়ে কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।

রোববার রাতের এ ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের খেলা শুরু হয়। ফ্রান্স খেলছিল দুই প্রান্ত ব্যবহার করে। বাঁ প্রান্ত ধরে কিলিয়ান এমবাপ্পে আর ডান প্রান্ত ধরে ওসমানে দেম্বেলে বার বার উঠে যাচ্ছিলেন পোল্যান্ডের গোলের কাছে। অন্যদিকে পোল্যান্ডের আক্রমণ হচ্ছিল থ্রু বলে। লেভানডোস্কিকে উপরে রেখেই গোল করার চেষ্টা করছিল তারা।

১৩ মিনিটের মাথায় পোল্যান্ডের পোস্টে প্রথম আক্রমণ করে ফ্রান্স। বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে শেজনিকে বিপদে ফেলে দিয়েছিলেন জিরুদ। ঘুসি মেরে বল ক্লিয়ার করেন শেজনি। চার মিনিট পরে দেম্বেলের শট আটকে দেন পোল্যান্ডের গোলরক্ষক। ২০ মিনিটের মাথায় আবারও ফরাসি আক্রমণ। এবার গ্রিজম্যানের শট বাঁচান শেজনি।

মাঝে মাঝে আক্রমণে উঠছিল পোল্যান্ডও। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারছিল না তারা। তার মধ্যেই ২৯ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যাওয়ার দুরন্ত সুযোগ পায় ফ্রান্স। প্রতি-আক্রমণে গ্রিজম্যানের পাস থেকে বল পান দেম্বেলে। বক্সের ভিতরে থাকা জিরুদকে লক্ষ্য করে বল বাড়ান তিনি। কিন্তু গোল করতে ব্যর্থ হন ফ্রান্স স্ট্রাইকার।

৩৮ মিনিটের মাথায় ভালো একটা সুযোগ পায় পোল্যান্ডও। জিয়েলিনস্কির জোরালো শট বাঁচান ফরাসি গোলরক্ষক হুগো লরিস। ফিরতি বলে আবারও শট করেন জিয়েলিনস্কি। এবার গোললাইন সেভ করেন উপমোকানো। ফিরতে বলে কামিনস্কি শট করেন। বল গোলে ঢোকার আগে তা ক্লিয়ার করেন ভারান।

প্রথমার্ধের বিরতির আগেই অবশ্য এগিয়ে যায় ফ্রান্স। বক্সের মধ্যে জিরুদকে বল দেন এমবাপ্পে। বাঁ পায়ের শটে শেজনিকে পরাস্ত করে গোল করেন জিরুদ। কাতার বিশ্বকাপে যা তার তৃতীয় গোল। ওই ১ গোলে এগিয়েই বিরতিতে যায় ফ্রান্স।

দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণাত্মক ফুটবল শুরু করে ফ্রান্স। ৪৮ মিনিটের মাথায় গ্রিজম্যানের শট আটকান শেজনি। পোল্যান্ডও গোল করার মরিয়া চেষ্টা করছিল। তাই প্রতি আক্রমণ থেকে অনেকটা জায়গা পেয়ে যাচ্ছিল ফ্রান্স। ৭৪ মিনিটে দলের দ্বিতীয় গোল করেন এমবাপ্পে। জিরুদ বল বাড়ান ডান প্রান্তে থাকা দেম্বেলেকে। অরক্ষিত জায়গায় থাকা এমবাপ্পেকে বল দেন তিনি। সময় নিয়ে ডান পায়ের জোরালো শটে শেজনিকে পরাস্ত করেন এমবাপ্পে।

খেলার অতিরিক্ত সময়ে আরও একটি গোল করেন এমবাপ্পে। এবার থুরামের পাস থেকে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বক্সে ঢোকেন এমবাপ্পে। তার পরে ডান পায়ের বাঁক খাওয়ানো শটে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি। এবারের বিশ্বকাপের ৫টি গোল হয়ে গেল এমবাপ্পের। সোনার বুটের দৌড়ে সবার আগে তিনি।

খেলা শেষ হওয়ার আগে অবশ্য পেনাল্টি থেকে একটি গোল শোধ করেন লেভানডোস্কি। ভিএআর প্রযুক্তি ব্যবহার করে পেনাল্টি দেন রেফারি। লেভানডোস্কির প্রথম শটটি বাঁচিয়ে দেন লরিস। কিন্তু শট নেওয়ার আগে তিনি নিজের জায়গা ছেড়ে এগিয়ে যাওয়ায় দ্বিতীয় বার পেনাল্টি নিতে বলেন রেফারি। এবার গোল করেন লেভানডোস্কি। তাতে অবশ্য ম্যাচ জিততে কোনও সমস্যা হয়নি ফ্রান্সের।

এনএস//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি