ঢাকা, মঙ্গলবার   ২২ জুলাই ২০২৫

প্রধানমন্ত্রীত্ব নিয়ে দ্বন্দ্বে থাই রাজপরিবার

প্রকাশিত : ২০:৪৮, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

থাইল্যান্ডে আগামী মাসের নির্বাচনে রাজার বড় বোন প্রধানমন্ত্রীর পদে প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর রাজা নিজেই এখন তাতে বাধ সেধেছেন। রাজার বড় বোন সাবেক রাজকুমারী উবোলরতানা মাহিডল ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি থাই রাকসা পার্টি হতে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হবেন।

কিন্তু রাজা এক ফরমান জারি করে বলেছেন, থাই সংবিধানের মূলনীতি অনুযায়ী তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদে প্রার্থী হতে পারেন না, যদিও তিনি রাজকীয় উপাধি ত্যাগ করেছেন।

থাই রাকসা পার্টি এখন বলছে, তারা রাজার এই আদেশ মেনে চলবে। এই দলটি থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার দলের রাজনৈতিক মিত্র।

উবোলরতানা মাহিডল রাজউপাধি ত্যাগ করে রাজনীতিতে নামার ঘোষণা দিয়ে থাইল্যান্ডে রীতিমত চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিলেন। থাই রাজপরিবার নিজেদেরকে রাজনৈতিক দলাদলির উর্ধে রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু রাজার বড় বোনের রাজনীতিতে নামার ঘোষণা সেখানে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করে।

রাজকুমারী উবোলরতানা রাজাকন্যা সিরিভাদানা বরনাভাদি হচ্ছেন থাইল্যান্ডের প্রয়াত রাজা ভুমিবলের প্রথম সন্তান। তার জন্ম ১৯৫১ সালে। রাজকুমারী পড়াশোনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে। সেখানে তিনি এক মার্কিন নাগরিককে বিয়ে করেন। এরপর তিনি রাজউপাধি ত্যাগ করেন। তবে স্বামীর সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদের পর তিনি আবার থাইল্যান্ডে ফিরে আসেন ২০০১ সালে। তখন আবার তিনি রাজপরিবারের কাজ-কর্মে অংশ নিতে শুরু করেন।

রাজকুমারী উবোলরতানা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয়। তিনি কয়েকটি থাই চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। তার তিন সন্তানের একজন ২০০৪ সালের এশিয়ান সুনামিতে মারা যায়। বাকী দুই সন্তান থাইল্যান্ডেই থাকেন।

রাজা ভাজিরালংকর্ন শুক্রবার তার বোনের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করে বলেন, এটি থাই সংবিধানের মূলনীতি এবং দেশটির রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিরোধী।

রাজপরিবারের কোন উর্ধ্বতন সদস্য রাজনীতিতে জড়ালে, সেটা যেভাবেই হোক, তা জাতির ঐতিহ্য, রীতি এবং সংস্কৃতির লঙ্ঘন। কাজেই এটি হবে খুবই অসঙ্গত একটি কাজ। রাজার এই বিবৃতিতে সংবিধানের সেই ধারাটিও উল্লেখ করা হয় যেখানে বলা হয়েছে রাজপরিবার তাদের রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা বজায় রাখবে।

থাইল্যান্ডে গত পাঁচ বছর ধরে সামরিক শাসন চলছে। সামনের মাসের নির্বাচনটিকে তাই বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। বিবিসির সংবাদদাতা জোনাথন হেড বলছেন, একজন রাজকুমারীকে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য মনোনয়ন দেয়ার সিদ্ধান্তটি সিনাওয়াতপন্থী রাজনৈতিক জোটের জন্য এক বড় ভুল বলে মনে করা হচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল সামরিক বাহিনীকে রাজনীতি থেকে দূরে সরানো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই ঘটনা সিনাওয়াতপত্নী জোটকে দুর্বল করলো।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি