ঢাকা, শনিবার   ০৪ মে ২০২৪

প্রিয়ার বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করলো আইআরআই

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৪৫, ২৮ জুলাই ২০১৯

বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্পের কাছে অভিযোগকারী প্রিয়া সাহাকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার যে তথ্য তিনি দিয়েছিলেন তা প্রত্যাখ্যান করেছে মার্কিন ‘প্রতিষ্ঠান দ্য ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট’ (আইআরআই)।

গত শুক্রবার (২৬ জুলাই) নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে সংস্থাটি।

বলা হয়, প্রিয়া সাহাকে ট্রাম্পের কাছে যাওয়ার ব্যাপারে তাদের পক্ষ থেকে কোনো স্পন্সর করা হয়নি। পাশাপাশি সংখ্যালঘু নির্যাতন সংক্রান্ত প্রিয়া সাহার বক্তব্যকে অসত্য বলেও জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

গত ১৬-১৮ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের আয়োজনে ওয়াশিংটন ডিসিতে ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর দ্বিতীয় দিন অন্যদের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পান বাংলাদেশি প্রিয়া সাহা।

এ সময় প্রিয়া সাহা ট্রাম্পের কাছে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন হচ্ছে জানিয়ে বলেন,  বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৩৭ মিলিয়ন বা ৩ লাখ ৭০ হাজার মানুষ ‘ডিসঅ্যাপিয়ার্ড’বা গুমের শিকার হয়েছে। এ বিষয়ে ট্রাম্পের সহযোগীতা চান বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহা।

তার এ কল্পনাপ্রসূত বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়। দেশব্যাপী নিন্দা আর প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

তবে সরকারের দেয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী তিনি এ চিত্র তুলে ধরেছেন বলে গণমাধ্যমে দেয়া এ সাক্ষাৎকারে দাবি জানান। কাদের পরিচালনা ও স্পন্সরে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে প্রিয়া বলেন, আইআরআইয়ের নিয়ন্ত্রণে তিনি ওয়াশিংটনে যান।

প্রিয়া সাহার এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সংস্থাটির পক্ষ থেকে তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত চিঠি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও পাঠিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রিয়া সাহার সঙ্গে আইআরআই কোনো কাজ করে না বা কোনোভাবে যুক্ত নয় বলেও উল্লেখ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রিয়া সাহার বক্তব্য ‘অসত্য’ বলেও মনে করে আরআরআই। প্রতিষ্ঠানটি আরও বলেছে, আইআরআই বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সম্পর্ককে সবসময় গুরুত্ব দেয়। তারা বাংলাদেশে সুশাসন ও নাগরিককেন্দ্রিক রাজনীতির প্রসারে কাজ করে যেতে চায়।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টর কাছে সংখ্যালঘুদের নিয়ে ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে যখন সমালোচনার তুঙ্গে, এমন সময় তার বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ ওঠে। প্যালেস্টাইনে গণহত্যার দায়ে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য নিষিদ্ধ এবং কূটনৈতিক যোগযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা ইসরাইলের সঙ্গে তার যোগযোগের আরেকটি মূহুর্ত গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে।

হোয়াইট হাউজে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ধরার পর তিনি আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিৎজের ভোজসভায় যোগ দেন।

আই/

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি