ঢাকা, বুধবার   ০৮ মে ২০২৪

প্রয়োজন হলে ‘সন্ত্রাসের’ বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে যুক্তরাষ্ট্র

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:২৮, ১৭ আগস্ট ২০২১

আবারও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ওয়াশিংটনের জন্য সঠিক হয়েছে। তিনি জানিয়েছে, আফগানরাই নিজেদের রক্ষার জন্য লড়েনি, সেখানে মার্কিন সেনারা কেন লড়াই করে জীবন দেবেন? তবে প্রয়োজন হলে ‘সন্ত্রাসের’ বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে আফগানিস্তানে তালেবানের হাতে মার্কিন সমর্থক সরকারের পতন হওয়ায় নিজ দেশে তোপের মুখে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ অবস্থায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন তিনি। ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আফগান পরিস্থিতির জন্য সব দায় কাবুলের ওপরেই চাপিয়ে দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি তার সিদ্ধান্তে অটল থাকার কথা ব্যক্ত করেন।

সোমবার হোয়াইট হাউস থেকে দেয়া ভাষণে জো বাইডেন বলেন, ‘আফগানিস্তানে দেশ গঠনের কোনো লক্ষ্যই ছিল না যুক্তরাষ্ট্রের। তবে জঙ্গি হামলা মোকাবিলার যে লক্ষ্য ছিল, তা সফল হয়েছে। দুর্বল করে দেয়া হয়েছে আল কায়দাকে। আফগানিস্তানে আমাদের অভিযানের একটাই লক্ষ্য ছিল, যেন যুক্তরাষ্ট্রে জঙ্গি হামলার জন্য দেশটির মাটি ব্যবহার না হয়।’

এ সময় আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারে নিজ সিদ্ধান্তে অটল থাকার কথা ব্যক্ত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমি আমার সিদ্ধান্তে পুরোপুরি অটল রয়েছি। সব সময় আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে মার্কিন জনগণের সঙ্গে থাকব। মার্কিনীরা এমন যুদ্ধে লড়াই করে মরতে পারে না, যেখানে আফগানরা নিজেরাই যুদ্ধ করতে ইচ্ছুক নয়।’

তবে বাইডেন স্বীকার করেন যে, তালেবান তাদের প্রত্যাশার চেয়েও দ্রুততার সঙ্গে আফগানিস্তান দখল করে নিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘২০ বছর পর এসে আমি শিখেছি যে, আফগানিস্তান ত্যাগ করার জন্য কখনোই ভালো সময় ছিল না। আমি নতুন করে এ ভুল করতে পারি না। তাই সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে আমার কোনো দুঃখ নেই।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্থ প্রেসিডেন্ট যে আফগানিস্তানে যুদ্ধের নেতৃত্ব দিচ্ছে। পঞ্চম প্রেসিডেন্ট হিসেবে আফগানিস্তানে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য আমি আর এই যুদ্ধের দায় রাখতে চাই না।’

আফগান জনগণের পক্ষে সমর্থন রাখার আহ্বান জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতা রোধে আঞ্চলিক কূটনীতি তৎপরতার চাপ রাখতে হবে। এছাড়া কথা বলতে হবে আফগান জনগণের মৌলিক অধিকারের জন্য।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলছি, অবশ্যই আমাদের পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রবিন্দু হতে হবে মানবাধিকার। কিন্তু দীর্ঘদিন সামরিক শক্তি মোতায়েন মানবাধিকার রক্ষার কোনো মাধ্যম হতে পারে না।’
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি