ফরিদপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২৩
প্রকাশিত : ২১:১৬, ৭ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২১:২৭, ৭ নভেম্বর ২০২৫
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি ঘিরে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩ পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২৩ জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়। এ ছাড়া ১০-১৫টি মোটরসাইকেল ও আশপাশের ১০-১২টি দোকান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলা সদরের ওয়াপদা মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
জানা যায়, ফরিদপুর ১ আসনে দুই মনোনয়ন প্রার্থীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিভক্তি চলে আসছিল। এক পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন ফরিদপুর ১ আসনের সাবেক বিএনপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম। অন্য পক্ষের নেতৃত্ব দেন বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু।
স্থানীয়রা জানায়, বিকালে উভয়পক্ষ ফরিদপুরের বোয়ালমারি বাজারে পৃথকভাবে ৭ নভেম্বর পালনকে উদ্দেশ্য করে কর্মসূচি আহ্বান করে। বিকাল ৫টার দিকে দুই পক্ষের লোকজন বোয়ালমারী বাজারে জড়ো হন। উভয় পক্ষের শত শত মানুষ যাওয়া আসা কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরপরই শুরু হয় ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও মারধর। এ সময় বিক্ষুব্ধরা আশেপাশের অন্তত ৮ থেকে ১০ টি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। তারা অন্তত আট থেকে দশটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নেভাতে আসলে বিক্ষুব্ধদের মুখে পড়ে ফিরে যায়। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ দল এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক সম্পাদক ও নবগঠিত কমিটির সহসভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু বলেন, নাসির গ্রুপ সমর্থিত নেতাকর্মীরা বহিরাগত লোকজন এনে আমাদের নেতাকর্মী ও অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে।
খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বলেন, ঝুনু মিয়ার সমর্থকরা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। আমাদের একজনকে কুপিয়ে জখম করে। ওরা হারুন শপিং কমপ্লেক্সের উপরে উঠে আমার সমর্থদের উপর ইট ছুড়ে মারলে কয়েকজন আহত হন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানান, বিএনপির দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ভাংচুর ও অগ্নিংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। তবে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী আসার পর পরিস্থিতি বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এমআর//
আরও পড়ুন










