ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪

বঙ্গবন্ধু শুধু নাম নয়, একটি প্রতিষ্ঠান: চবি উপাচার্য

চবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ১৯:৩১, ১৩ অক্টোবর ২০১৯

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (দায়িত্বপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একটি নাম নয়, একটি প্রতিষ্ঠান। রোবিবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত চবি ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধুর সামাজিক ও অর্থনৈতিক দর্শন : বর্তমান বাংলাদেশ’ শীর্ষক বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

চবি উপাচার্য আরও বলেন, এই মহান নেতা শৈশবকাল হতে মা, মাটি ও মানুষকে নিয়ে ভাবতেন। তাইতো এদেশের মানুষকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করার জন্য ১৯৭১ সালে তারই আহ্বানে এবং সুযোগ্য নেতৃত্বে বীর বাঙালি পাকিস্তানী হায়েনাদের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে এ দেশকে মুক্ত করে বিশ্ব মানচিত্রে প্রতিষ্ঠা করে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, জাতির জনকের স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত, গণতান্ত্রিক, শোষণমুক্ত ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ একটি মানবিক বাংলাদেশ। জাতির জনকের এই স্বপ্ন পূরণে তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বর্তমান বাংলাদেশ শিক্ষা-সংস্কৃতি, চিকিৎসা, কৃষি, সামাজিক নিরাপত্তা, শিল্পায়ন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, নারী শিক্ষা ও ক্ষমতায়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ আজ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোকে পিছনে ফেলে অদম্য-দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে। 

প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার এসময় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের এ অগ্রযাত্রা টেকসই করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ দেশের সকল শ্রেণি-পেশার জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে জাতির জনকের জীবনাদর্শ নিয়ে আরও ব্যাপক গবেষণা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও কর্মশালা আয়োজনের মাধ্যমে এ মহান নেতার গৌরবগাঁথা নতুন প্রজন্মসহ দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখতেন, বাঙালিদেরও স্বপ্ন দেখিয়েছেন এবং তা বাস্তবায়ন করেছেন একটি স্বাধীন-সার্বভৌম জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শিক্ষাকে মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি দিয়ে নিরক্ষরতা দূরীকরণের যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। কৃষি থেকে শুরু করে সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠন-পাঠনে অন্তর্ভূক্তকরণসহ শিক্ষায় বৈচিত্রকরণের কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু শিক্ষা এবং শিক্ষাবিদদের অত্যন্ত শ্রদ্ধা এবং সম্মান করতেন। এ কারণে ’৭৩ অধ্যাদেশ-এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পূর্ণ স্বায়িত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানরূপে বাস্তব স্বীকৃতি প্রদান করেছিলেন যাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের নিজস্ব ধ্যান-ধারণা ও চিন্তা-চেতনা নিয়ে আলোকিত মানবসম্পদ উৎপাদন করতে ব্রতী হয়। এই অধ্যাদেশ পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিচালিত হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সকল প্রকার নেতিবাচক কর্মকাণ্ড দূরীভূত হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (দায়িত্বপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার-এর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর মো. জাকির হোসেন। 

চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. অঞ্জন কুমার চৌধুরীর সঞ্চালনায় স্মারক বক্তৃতায় ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক চবি শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সহিদ উল্যাহ।
 
এনএস/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি