ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৪ মে ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দায়মুক্তি শুনে বিস্মিত হয়েছিলেন রাদওয়ান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৯, ২০ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ১৯:৪১, ২০ আগস্ট ২০১৭

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের দায়মুক্তি দেওয়ার কথা প্রথম জেনে বিস্মিত হয়েছিলেন তার নাতি শেখ রেহেনার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক। ১৯৮৬ সালে রাদওয়ান প্রথম এ কথা শোনার সময় কিন্ডারগার্টেনে পড়তেন।


বঙ্গবন্ধুর ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার ঢাকায় এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, আমি ইনডেমনিটি আইনের কথা শুনে খুব আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিলাম। কীভাবে এমন একটি আইন হতে পারে?


১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের বাড়িতে আক্রমণ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারের হত্যা করে একদল সেনা সদস্য।


ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল স্ট্রাস্টে আয়োজিত সেমিনারে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার তদন্তকারী, প্রসিকিউটর, আইনের শিক্ষক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা বক্তব্য রাখেন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি তরুণ পেশাজীবীরা এতে অংশ নেন।


নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিদের জাতির জনক সম্পর্কে জানা ও অন্যদের জানানোর আহ্বান জানান রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।


রাদওয়ান শৈশবের স্মৃতি তুলে ধরে বলেন, আমরা ঢাকায় আসি ১৯৮৬ সালে এবং বনানীর একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে আমি ভর্তি হয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে সেই স্কুল বদলাতে হয়েছিল। আমি রাগ হয়ে মাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কেন আমাকে স্কুল পাল্টাতে হবে? তখন তিনি বলেছিলেন, খুনিদের ছেলেরা এখানে আছে। আমি তখন জিজ্ঞাসা করেছিলাম, খুনিরা কীভাবে মুক্ত থাকে। তখন আমাকে দায়মুক্তি আইনের কথা বলা হয়েছিল।


জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়্যারম্যান মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার প্রধান প্রসিকিউটর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।


প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সংসদ সদস্য ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণহত্যা অধ্যয়ন কেন্দ্রের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন এবং দৈনিক জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়।
//এআর


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি