বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সাড়ে ৬ লাখ মানুষ : মায়া
প্রকাশিত : ১৫:১১, ১২ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ২০:০১, ১২ জুলাই ২০১৭
দেশের ১৩ জেলার সাড়ে ছয় লাখ মানুষ চলমান বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণসামগ্রীর অভাব নেই। দলমত নির্বিশেষে সবার উচিত দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানো। বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব শাহ কামাল ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের অন্য কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরু থেকে উজানের ঢল ও ভারি বর্ষণে দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় বন্যা চলছে। ৪৫ উপজেলায় কয়েক লাখ মানুষ এখন পানিবন্দি। বাড়ি-ঘর ডুবে যাওয়ায় অনেকে নিরাশ্রয় হয়ে পড়েছেন, বন্ধ রাখা হয়েছে কয়েকশ বিদ্যালয়। মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশের নয়টি নদীর পানি ১৭টি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছিল। এসব নদীর মোট ৫৫টি পয়েন্টে পানি বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত ছিল। আরও কয়েকদিন ভারি বর্ষণের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ত্রাণমন্ত্রী বলেন, বন্যা কবলিত ১৩ জেলায় গত ৩ থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চার হাজার মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এক কোটি নয় লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং নয় ধরনের শুকনো খাবারের সমন্বয়ে সাড়ে ১৮ হাজার প্যাকেট খাবারও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দুর্গত ১৩ জেলার ৪৫ উপজেলায় সাড়ে ছয় লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা জেলা প্রশাসকদের বলেছি, তাদের চাহিদামত খাদ্যশষ্য ও আর্থিক বরাদ্দ দেওয়া হবে। একটি লোকও যাতে খাবারের কারণে কষ্ট না পায়। যারা খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বন্যা নিয়ে রাজনীতি না করে আমি দলমত নির্বিশেষে সবাইকে আহ্বান জানাব- আসুন আমরা বন্যা প্লাবিত মানুষের পাশে দাঁড়াই।
মায়া বলেন, সরকার প্রত্যেক জেলার বন্যা পরিস্থিতি সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে নিয়মিত বন্যা ও ত্রাণ কার্যক্রমের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন, প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।
আর/ডব্লিউএন
আরও পড়ুন