ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

বরেণ্য শিল্পী রফিকুন নবীর জন্মদিন আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৪১, ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | আপডেট: ১৪:৪৩, ২৮ নভেম্বর ২০২৩

দেশের চারুকলা ভুবনের অনন্য এক নাম রফিকুন নবী। সর্বসাধারণের কাছে রনবী নামে অধিক পরিচিত তিনি। তার অনবদ্য সৃষ্টির মাঝে রয়েছে ছিন্নমূল পথশিশুদের জীবন যাতনার প্রতিচ্ছবিময় টোকাই শিরোনামের কার্টুন। একুশে পদকজয়ী এই  বরেণ্য শিল্পীর ৮০তম জন্মবার্ষিকী ও ৮১তম জন্মদিন। 

১৯৪৩ সালের ২৮ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন তিনি। 

শিল্পীর জন্মবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী প্রদর্শনালয় ও গ্যালারি চিত্রকে চলছে দুটি পৃথক প্রদর্শনী। রফিকুন বর্ণাঢ্য শিল্পযাত্রার বিভিন্ন পর্যায়ের বৈচিত্র্যময় শিল্পধারার  চিত্রকর্মের সম্মিলনে সেজেছে জাদুঘরের প্রদর্শনীটি। অন্যদিকে ২০২২ ও  ২০২৩ সালে আঁকা শিল্পীর সাম্প্রতিক  চিত্রকর্মের সমাহারে সজ্জিত হয়েছে চিত্রকের শিল্পায়োজনটি। 

উভয় প্রদর্শনীর আয়োজক রফিকুন নবীর জন্মদিন উদযাপন কমিটি। এই কমিটির উদ্যোগেই আজ মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে বর্ণিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। শিল্পীর কর্মের মূল্যায়নধর্মী আলোচনার পাশাপাশি থাকবে নাচ, গান ও কবিতার সমন্বিত সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। আয়োজনে রং ছড়াবে  শিল্পীর আঁকা প্রায় কয়েক সহস্রাধিক  কার্টুন, প্রচ্ছদ ও পোস্টার প্রদর্শনী। 

রফিকুন নবীর জন্ম চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। বাবা রশীদুন নবী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা। মা আনোয়ারা বেগম। শিল্পী শৈশব-কৈশোরের লম্বা সময় কেটেছে পুরান ঢাকায়। বাল্যকাল থেকেই ছবি আঁকতেন। এ বিষয়ে অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন বাবার কাছ থেকে। 

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন প্রতিষ্ঠিত তৎকালীন ‘ইস্ট পাকিস্তান কলেজ অব আর্ট’-এ (বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ) ভর্তি হন ১৯৫৯ সালে। স্নাতক ডিগ্রি নেন ১৯৬৪ সালে। ছাত্রজীবন  থেকেই সংবাদপত্রে লেখা ও অলঙ্করণের কাজে যুক্ত ছিলেন। কর্মজীবন শুরু করেছিলেন সাংবাদিকতা দিয়েই।

১৯৬৪ সালে আর্ট কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭৩ সালে গ্রিস সরকারের বৃত্তি নিয়ে এথেন্সের স্কুল অব ফাইন আর্টসে তিন বছর ছাপচিত্রে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করেন। দেশে ফিরে তিনি ছাপচিত্রের কাঠখোদাই মাধ্যমে নতুন ধারার প্রবর্তন করেন। সেই ধারা শুধু এ দেশেই নয়, উপমহাদেশেও ছিল নতুন ও স্বতন্ত্র। 

শিক্ষকতা জীবনে রফিকুন নবী অঙ্কন ও চিত্রায়ণ বিভাগের প্রধান, চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক এবং অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ২০১০ সালে অবসর গ্রহণ করেন।

শিল্পকলা ও সাহিত্য চর্চায় অবদানের জন্য ইমেরিটাস অধ্যাপক রফিকুন নবী দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদক, সাহিত্য কর্মের জন্য অগ্রণী ব্যাংক শ্রেষ্ঠ শিশু সাহিত্যিক পুরস্কারসহ দেশ বিদেশে বহু পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন।  

এএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি