বাংলাদেশি সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের দাবি বিএসএফের
প্রকাশিত : ২৩:৪৭, ২৩ আগস্ট ২০২৫

ভারতের ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় বাংলাদেশ পুলিশের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তাকে আটক করার দাবি জানিয়েছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। শনিবার দেশটির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা সীমান্ত থেকে তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তবে আটক ওই পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয় প্রকাশ করেনি বিএসএফ।
পশ্চিমবঙ্গ বিএসএফের কর্মকর্তারা বলেছেন, স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মাঝে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হাকিমপুর সীমান্ত চৌকির কাছ থেকে বাংলাদেশি ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। পরে আটককৃত ওই বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তাকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, আটককৃত ব্যক্তির কাছ থেকে একটি পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। এতে দেখা যায়, তিনি বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত। সীমান্তের একটি কাঁটাতারবিহীন অংশ দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেন তিনি।
এ সময় তার সন্দেহজনক আচরণে বিএসএফের সদস্যরা এগিয়ে যান। পরে তাকে আটক করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। তবে তিনি কেন ভারতে পলিয়েছেন, সেই বিষয়ে এখন পর্যন্ত বিস্তারিত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
বিস্তারিত জানতে বাংলাদেশি ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।
এদিকে, দেশটির উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় আসামের মন্ত্রিসভা রাজ্যের প্রাপ্তবয়স্কদের আর আধার কার্ড দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। তবে মন্ত্রিসভা বলেছে, রাজ্যের তফসিলি উপজাতি তফসিলি জনজাতি ও চা-শ্রমিক সম্প্রদায়ের সদস্যদের জন্য এক বছরের অতিরিক্ত সুযোগ দেওয়া হবে।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা যাতে আধার কার্ড না পান, সেটি নিশ্চিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘‘আমরা এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। কারণ আমরা গত এক বছরে সীমান্তে একের পর এক বাংলাদেশিকে আটক করেছি। গতকালও সাতজনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে আমরা নিশ্চিত নই, সবাইকে আটক করতে পেরেছি কি না। তাই আমরা একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি করতে চাই, যাতে কেউ অবৈধভাবে আসামে ঢুকে আধার নিয়ে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে বসবাস করতে না পারেন। আমরা সেই দরজা পুরোপুরি বন্ধ করতে চাই।’’
আসামের এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যদি কেউ এক বছরের পরও বাদ পড়ে যান, তাহলে তাকে সংশ্লিষ্ট ডেপুটি কমিশনারের (ডিসি) কাছে আবেদন করতে হবে। এরপর ডিসি পুলিশ সুপার, ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালসহ সব অংশীদারদের সঙ্গে পরামর্শ করে অত্যন্ত বিরল ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে অনুমোদন দেওয়া হতে পারে।
সূত্র: নিউজ১৮
এসএস//
আরও পড়ুন