ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

‘বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় শেখ কামাল’

শেখ আরিফুজ্জামান, মালয়েশিয়া থেকে: 

প্রকাশিত : ০০:০৬, ৭ আগস্ট ২০২০

করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামালের ৭১ তম জন্ম দিবস উপলক্ষে গতকাল বাংলাদেশ হাইকমিশন মালয়েশিয়ার উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সভায় হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলাম ৫ অক্টোবরের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, সকল উন্নত জাতির যেমন সমৃদ্ধ ইতিহাস আছে, তেমনি বাংলাদেশেরও সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। 

এই ইতিহাসের সঠিক চর্চাই হোক আমাদের আজকের দিনের অঙ্গীকার। শেখ কামাল বাংলাদেশের সেই ইতিহাসের এক অন্যতম অংশ। তিনি ৬ দফা, ১১ দফা এবং ঊনসত্তরের গণআন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি জেনারেল এম এ জি ওসমানীর এডিসি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ  দ্বায়িত্ব পালন করেন।

এ সময় তিনি বলেন, শেখ কামাল স্বাধীন বাংলাদেশে আধুনিক ক্রীড়া ও সংস্কৃতি আন্দোলনের পথিকৃৎ ছিলেন।  দূরদৃষ্টি সম্পণ্ন শেখ কামাল আবাহনী ক্রীড়াচক্র প্রতিষ্ঠা করেন।  বিদেশী আন্তর্জাতিক মানের ফুটবল প্রশিক্ষক নিযুক্ত করে ফুটবল টিম দেশে ও বিদেশে সফলতা অর্জন এবং ফুটবলকে আধুনিকায়নে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য।  তিনি ঢাকা থিয়েটার ও স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠা করে সংস্কৃতির চর্চায় নবমাত্রা সংযোজন করেন।

নি:স্বার্থ ও নিরহংকারী ছিলেন শেখ কামাল। সাধারণের মাঝে তিনি খুব সহজে মিশে যেতেন। তার কোন অহমিকা ছিলনা।  তিনি অমায়িক ও বন্ধুবৎসল ছিলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সন্তান হিসেবে নিজেকে পরিশীলিত ও আদর্শবান করে উপস্থাপন করেছেন। তিনি তারুণ্যের অহংকার। এমন আদর্শবান বহুমুখী প্রতিভাধারী ব্যক্তি বেঁচে থাকলে দেশকে অনেক কিছু দিতে পারতেন।

হাইকমিশনার ১৫ আগস্টের নির্মমতাকে স্মরণ করে বলেন, শেখ কামালকে নির্মমভাবে জীবন দিতে হয়েছে সেই দেশে যে দেশ তাঁর পিতার নেতৃত্বাধীনে স্বাধীন হয়েছে এবং যে দেশের জন্য তিনি নিজেও যুদ্ধ করেছেন! তিনি সেই সন্তান যিনি মৃত্যুর আগমুহূর্ত পর্যন্ত বীরত্বের সাথে লড়াই করেছেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা নির্মানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার কাজ করছে।  ইতোমধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। ক্রীড়া ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রেও অনেক সফলতা রয়েছে। তিনি উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে  সার্বিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য সকলকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, তাহলেই এ জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী পালন সফল হবে এবং শেখ কামালের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা জানানো হবে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে শেখ কামালসহ সকল শহীদদের এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া ও মুনাজাত করা হয়।  শেখ কামালের জীবন সম্পর্কিত একটি প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন এবং আলোচনা করা হয়।  অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শ্রম ২) মো: হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল।   

আরকে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি