ঢাকা, সোমবার   ২১ জুলাই ২০২৫

বিতর্কিত ৩ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের তথ্য চেয়ে চিঠি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫২, ২১ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১৩:০৪, ২১ জুলাই ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে হওয়া ‘বিতর্কিত’ তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের তথ্য চেয়ে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের ((ডিসি) চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। 

রোববার (২০ জুলাই) ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখার উপ-সচিব মোহাম্মদ মনির হোসেনের সই করা চিঠি ইতিমধ্যে বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিদের পাঠানো হয়েছে।

এসব নির্বাচনের অনিয়ম খতিয়ে দেখতে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের তথ্য ইসির কাছে চেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গত ২২ জুন শেরে বাংলা থানায় মামলার পর পিবিআই সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তথ্য চাওয়ার পর নির্বাচন কমিশন তথ্য সংগ্রহের এ উদ্যোগ নিল।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরের (ডিএমপি) শেরেবাংলা নগর থানার, মামলা নং-১১-এর সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে পিবিআই থেকে ২০১৪,২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী রিটার্নিং অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদের নাম, ঠিকানা, পিতার নাম, মাতার নাম, স্থায়ী/বর্তমান ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট নম্বর ও মোবাইল নম্বর ভোটকেন্দ্র ভিত্তিক সরবরাহের জন্য অনুরোধ করা হয়। 

এসব তথ্য জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে চিঠিতে।

সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে ডিসি, ইউএনও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকেন। নির্বাচন কর্মকর্তারা থাকেন সহকারী হিসেবে। এ ছাড়া প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে বিভিন্ন দপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারাও নিয়োজিত থাকেন।

এর আগে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি সবশেষ তিন জাতীয় নির্বাচনের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করা ২২ জন জেলা প্রশাসককে (ডিসি) বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার।

বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনারদের বিরুদ্ধে গত ২২ জুন শেরে বাংলা নগর থানায় মামলা করে বিএনপি। প্রহসনের নির্বাচন করার অভিযোগে সাবেক তিন সিইসিসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন খান।

মামলায় ২০১৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে তৎকালীন সিইসি এ কে এম নূরুল হুদা ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আসামি করা হয়।

এরপরই সাবেক সিইসি কে এম নূরুল হুদা এবং কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি