ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

বিদেশিরা বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে: টিআইবি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:২৮, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, বিভিন্ন দেশে নাগরিকরা বাংলাদেশের পর্যটন ভিসা নিয়ে এসে অবৈধভাবে কাজ করে বছরে বিপুল পরিমান টাকা বিদেশে পাচার করছে। বাংলাদেশে কমপক্ষে আড়াই লাখ বিদেশি কর্মরত রয়েছেন। তাদের হাত ধরে দেশ থেকে প্রতিবছর পাচার হয়ে যাচ্ছে ২৬.৪ হাজার কোটি টাকা।

তিনি বলেন, কোটি কোটি টাকা পাচার হওয়ার পাশাপাশি বিদেশিরা অবৈধভাবে দেশে কাজ করায় রাষ্ট্র বিপুল পরিমাণে কর হারাচ্ছে।

আজ বুধবার রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে টিআইবির এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ড. ইফতেখারুজ্জামান। ‘বাংলাদেশে বিদেশিদের কর্মসংস্থান: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘একটা সময় আমরা কৃষিনির্ভর দেশ ছিলাম। সেটা রূপান্তরিত হয়ে আজ শিল্প এবং সেবা খাতের ওপর আমাদের নির্ভরশীলতা বেড়েছে। যেটা আমাদের উন্নয়নের লক্ষণ। সময়ের সঙ্গে আমাদের বিনিয়োগও বেড়েছে। তবে তা আরও বেশি হতে পারতো। যেটুকু হয়েছে তা লক্ষ করার মতো। শিল্পের প্রয়োজনেই আমাদের এখানে বিদেশি জনবলের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। কিন্তু নানা অনিয়মের কারণে বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশ থেকে পাচার হয়ে যাচ্ছে।’

টিআইবির গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশিরা ভিসা নিয়ে দেশে অবস্থান করে। তবে সবাই অনুমতি নিয়ে কাজ করে না। যারা অনুমতি ছাড়া কাজ করে, তারা মূলত পর্যটক ভিসা নিয়ে অবস্থান করে, যার মেয়াদ সর্বোচ্চ তিন মাস। এক্ষেত্রে প্রতি তিন মাস পর পর তারা নিজ দেশে ফিরে যায়। আবার দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন করে পর্যটন ভিসা নিয়ে একই কাজে বা একই ধরনের কাজে যোগদান করে। বাংলাদেশ পর্যটন ভিসায় আসা পর্যটকদের ৫০-৭০ ভাগ কাজের উদ্দেশ্যে আসে বলে গবেষণা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।

গবেষণা কাজ ও প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন টিআইবির প্রোগ্রাম ম্যানেজার (রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি) মনজুর-ই-খোদা। তিনি জানান, ৪৪টির বেশি দেশ থেকে আসা বিদেশিরা বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে কর্মরত। দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভারতীয় নাগরিকরা বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে কর্মরত রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ন্যূনতম হিসাবে আড়াই লাখ বিদেশি কর্মী বাংলাদেশে কর্মরত থাকলেও কর অঞ্চল-১১ এ কর দেওয়া বিদেশি কর্মীদের সংখ্যা মাত্র ৯ হাজার ৫০০ জন। বাকিদের আয়ের কোনও হিসাব নেই। এর মধ্যে যে ৯ হাজার ৫০০ জন কর দিচ্ছে তারাও আয়ের সঠিক তথ্য গোপন করছে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন টিআইবির উপদেষ্টা (নির্বাহী ব্যবস্থাপনা) অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের, সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার (রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি) শাহজাদা এম আকরাম প্রমূখ। 

এমএস/এসি
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি