ঢাকা, শনিবার   ০৫ জুলাই ২০২৫

বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নের ৩ দিন পর ডরমেটরিতে স্থানান্তর ইবি ছাত্রীরা

ইবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৯:৫৯, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ১০:০৩, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

Ekushey Television Ltd.

টানা তিন দিন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নের পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) খালেদা জিয়া হল থেকে ছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমিটরির ‘কপোতাক্ষ’ ভবনে স্থানান্তর করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কর্তৃপক্ষ।

নিয়মিত শর্টসার্কিট, হঠাৎ আগুনের স্ফুলিঙ্গ এবং রাতে হঠাৎ বিদুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে এ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে খালেদা জিয়া হলের পুরাতন ব্লক থেকে জিনিসপত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের কপোতাক্ষ ভবনে স্থানান্তর হতে দেখা যায়। 

এদিন হলে উপস্থিত ৯৬ জন শিক্ষার্থীকে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ব্যবহৃত না হওয়া কপোতাক্ষ ভবনে ছাত্রীদের স্থানান্তরের উদ্দেশ্য চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি নতুন করে বিদ্যুৎ সংযোগ ও পানির লাইন সচল এবং অভ্যন্তরীণ ওয়াশরুম এস্টেট অফিসের তত্ত্বাবধায়নে পরিষ্কার করা হয়।

স্থানান্তরিত হওয়া ছাত্রীরা বলেন, ‘আমাদের হলের বৈদ্যুতিক সমস্যা নতুন কিছু নয়। গত কয়েকদিনেও কয়েকবার শর্টসার্কিটের ঘটনা ঘটে। এর আগে কয়েকবার সংস্কার করা হলেও স্থায়ী সমাধান দেয়া হয়নি৷ গত তিনদিন আমরা পানি ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় হলে অবস্থান করেছি। আজকে প্রশাসন থেকে আমাদেরকে কপোতাক্ষ ভবনে শিফট করা হলো।’

‘আমরা চাই হলের বৈদ্যুতিক সমস্যার অবসান ঘটিয়ে দ্রুত এর সংস্কার করে আবার আমাদেরকে হলে ফিরিয়ে নেয়া হোক। এখানে আমাদের সাময়িক যে কক্ষগুলোতে থাকতে দিচ্ছে তা তুলনামূলক ছোট এবং আমাদের কষ্ট করে থাকতে হবে।’

এ বিষয়ে ইবির সহ-সমন্বয়ক রকিবুল ইসলাম বলেন, আজকে এখানে আমরা ৯৬ জন ছাত্রীকে স্থানান্তর করছি। হলে সশরীরে উপস্থিত যারা ছিলেন কেবল তাদেরকেই এখানে আনা হয়েছে। এর আগে ভবনটি অব্যবহৃত থাকায় এস্টেট অফিসের সহায়তায় পরিষ্কার করে পানি এ বিদ্যুতের লাইন ঠিকঠাক করা হয়। এখন ছাত্রীদের এখানে থাকার মতো একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

ইবি সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, বাকী ছাত্রীদের জন্য কর্ণফুলীতে ব্যবস্থা করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) কে.এম শরীফ উদ্দীন বলেন, খালেদা জিয়া হলের যে বৈদ্যুতিক সমস্যা রয়েছে তা নতুন প্রশাসন আসার আগে কিছু করা সম্ভব নয়। প্রশাসন আসলে অনুমোদন হয়ে টেন্ডার আসবে তারপর আমরা কাজে হাত দিতে পারবো। আমরা প্রাথমিকভাবে যে খসড়া করেছি তাতে আনুমানিক ৪৮ লাখ টাকার মতো প্রয়োজন হবে।

আবাসিক শিক্ষক ড. মো. এরশাদুল হক বলেন, ইতিমধ্যে রেজিস্টার খাতায় তালিকা করে শিক্ষার্থীদের স্থানান্তর করা হয়েছে। তারপরও আমরা স্ব স্ব স্থানে সবাই উঠেছে কিনা সেটা মিলিয়ে দেখব, হলে কত নম্বর রুমে ছিল আর এখানে কত নম্বর রুমে আছে সেটাও লিখে রাখা হবে। এছাড়া কর্ণফুলী ভবনটিও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে বাকি ছাত্রীদের সেখানে স্থানান্তরিত করা হবে। 

তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ২০১৮-১৯, ১৯-২০ এবং ২০-২১ সেশনেরও কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে আসা হয়েছে। নতুন প্রশাসন না আসা পর্যন্ত হল সংস্কার করা সম্ভব না। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী বলেন, ডরমেটরি আগে থেকেই সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত। এই এলাকা পূর্ব থেকে নিরাপদ রয়েছে তবে এখন কপোতাক্ষ ভবনের জন্য আলাদা করে দু'জন আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। আশা করি নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি থাকবে না।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি