ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪

বিশ্ব নেতৃত্বের চোখ এখন মোদির দিকে

প্রকাশিত : ২৩:২৭, ২৪ মে ২০১৯ | আপডেট: ২৩:৩৪, ২৪ মে ২০১৯

টানা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় বসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের ইতিহাসে মোদির আগে মাত্র দুজন টানা প্রধানমন্ত্রী হতে পেরেছিলেন। একজন কংগ্রেস নেতা জওহরলাল নেহরু অন্যজন ইন্দিরা গান্ধী। দীর্ঘ সময় পর ভারতের ইতিহাসে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে নরেদ্র মোদি টানা দ্বিতীয়বার শপথ নিতে যাচ্ছেন। আগামী ২৯ মে শপথ নিতে পারেন মোদি।

আর নতুন প্রধানমন্ত্রীত্ব নেওয়ার জন্য শুক্রবার তিনি পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে। তার নতুন সরকার গঠন করা নিয়ে ব্যাপক ব্যস্ত সময় পার করছেন নরেন্দ্র মোদি। নতুন সরকারে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় নিয়ে তিনি বেশ ব্যস্ত বলে জানা গেছে।

সাত দফা ভোটগ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার ঘোষিত ফলে বিজেপি ভারতের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা জয় পায়। উল্লাসে ফেটে পড়ে ভারতবাসী। ফলে, মোদির শপথ এখন সময়ের অপেক্ষামাত্র। নতুন সরকারের শপথ অনুষ্ঠান বিজেপির পক্ষ থেকে ঘোষণা করা না হলেও ভারতীয় গণমাধ্যমের ইঙ্গিত আগামী ২৯ মে শপথ নিতে পারেন মোদি ও তার মন্ত্রিসভা।

এদিকে মোদির শপথ অনুষ্ঠানে থাকতে পারেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পূতিন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁসহ বিশ্বনেতারা। টাইমস নাউ নিউজের বরাত দিয়ে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।

১৭তম লোকসভার এ নির্বাচন সাত দফায় অনুষ্ঠিত হয়। ১১ এপ্রিল প্রথম দফার ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু ১৯ মে শেষ হয়। ২৩ মে ভোট গণনা শুরু হয়। সময় যত গড়িয়েছে বিজেপি শিবিরে জয়ের আনন্দ ততোটাই ছড়িয়েছে। শেষ হাসিটাও হেসেছে তাই মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি। 

২০১৪ সালের মে মাসে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার অনুষ্ঠানে দক্ষিণ এশিয়ার সার্কভুক্ত দেশগুলোর নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মোদি। তবে এবারো তিনি বিশ্ব নেতাদের শপথ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পাঠাবেন। টাইমস নাউ নিউজের খবরে বলা হয়েছে, এরইমধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যানুয়েল ম্যাঁক্রনকে ওই শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ পাঠিয়েছে বিজেপি।

বিজয়ের পর একের পর এক বিশ্বনেতারাও তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান,বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তার সঙ্গে কাজ করার কথাও তারা বলেছেন বার্তায়। 

ধারণা করা হচ্ছে, এ বছরই যুক্তরাজ্যকে টপকে বিশ্বের পঞ্চম অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠবে ভারত, যাদের রয়েছে বিশ্ব অর্থনীতির জন্য জরুরি এক বিশাল তরুণ কর্মশক্তি। শুধু গত বছরেই বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভারতীয় কোম্পানিগুলোয় ৪৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।

দেশটিতে অনেক নতুন নতুন সড়ক তৈরি রয়েছে, প্রান্তিক পর্যায়ে উন্নয়ন, গরিবদের জন্য সস্তার রান্নার গ্যাস, গ্রামে পয়োঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা তৈরি, একটি একক বিক্রয় কর, প্রতিশ্রুতিশীল একটি স্বাস্থ্য বীমা নীতি তৈরির মতো অনেক কাজ হয়েছে।  এছাড়া  বিশেষ করে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অনুপস্থিতিতে আস্তে আস্তে চীনের পাল্টা শক্তি হয়ে উঠছে ভারত,বলছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক থিংক ট্যাংক কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্স।

দ্বিতীয় মেয়াদেও যদি মোদি ভারতীয় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা অব্যাহত রাখেন, তাহলে হয়তো দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ভূ-রাজনৈতিক জোট এবং বন্ধুত্বের পালাবদল দেখা যেতে পারে। যার কারনে বিশ্ব নেতাদের চোখ এখন ভারতের দিকে। মোদির দিকেই লক্ষ্য থাকবে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের।

মোদির এমন বড় জয়ের ব্যাপারে বলা হচ্ছে এবার মূলত বামপন্থীদের ভোটের একটা বড় অংশ নিজেদের দিকে টানতে পারার জন্য বিজেপি এত ভালো ফল করেছে বলে মনে করেন মমতা ব্যানার্জী।

‘কমরেডরা এবার দলে দলে পদ্মফুলে ভোট দিয়েছে’, অভিযোগ তৃণমূল নেতা পার্থ চ্যাটার্জীর। বামফ্রন্ট একটিও আসন না পাওয়ার দিকে উনার ইঙ্গিত। 

বিজেপি নেতা ও কৌঁসুলি সুনীল দেওধর অবশ্য বললেন, বাম শুধু নয়, তৃণমূলেরও একটি অংশ তাদের দিকে ঝুঁকেছে মমতার ‘অপশাসনের’ ফলে।

কেআই/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি