ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

বৃটেনের নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ে ভোটযুদ্ধ শুরু

প্রকাশিত : ১৮:৫০, ১৩ জুন ২০১৯

ব্রেক্সিট ইস্যুতে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র পদত্যাগের ঘোষণা পর দলের শীর্ষ নেতা বাছাইয়ে প্রথমবারের মত বৃহস্পতিবার ভোট হতে চলেছে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টিতে।

বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষ হাউস অব কমন্সে গোপন ব্যালটে এ ভোট হতে যাচ্ছে। স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে ভোটের ফলাফল জানা যাবে বলে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে।  

নির্বাচিত হতে হলে একজন প্রার্থীকে ন্যূনতম ১৭ ভোট পেতে হবে। এর কম হলে তিনি প্রতিযোগীতা করতে পারবেন না। যারা এর কম পাবেন, তারা বাদ পড়বেন। 

প্রার্থীদের সবাই ন্যূনতম ভোটের বাধা টপকাতে পারলে তাদের মধ্য থেকে বাদ পড়বেন সবচেয়ে কম ভোট পাওয়া প্রতিদ্বন্দ্বী।

অবশিষ্ট প্রার্থীদের নিয়ে আগামী সপ্তাহে ফের ভোট হবে; এভাবে কয়েক দিনের সিরিজ ভোটের মাধ্যমে টোরি এমপিরা চূড়ান্ত দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে নির্বাচিত করবে।

এই দুজন থেকেই শীর্ষ নেতা বেছে নিতে হবে পার্টির সদস্যদের।

এক্ষেত্রে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে সে সিদ্ধান্ত নেবেন দলের সকল নিবন্ধিত সদস্যরা। ভোট শেষে আগামী জুলাই মাসের শেষের দিকে এর ফল ঘোষণা হবে।

যিনি দলের নেতা নির্বাচিত হবেন হাউজ অব কমন্সের নিয়ম অনুযায়ী তিনি হবেন থেরেসা মে’র স্থলাভিসিক্ত তথা ব্রিটেনের প্রধামন্ত্রী।  

এদিকে, নির্বাচনী প্রচারে এগিয়ে আছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। বুধবার থেকে এ প্রচারণা শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি নির্বাচিত হলে আগামী অক্টোবরে মধ্যে যুক্তরাজ্যকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বের করে আনবো। তবে, কিভাবে তা করবেন তার ব্যাপারে স্পষ্টত কিছু বলেননি তিনি।  তবে বলেছেন চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট নয়।

অন্যদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ জনসনকে ‘গতকালের খবর’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন, “আজ আমাদের দরকার আগামীর নেতা। দরকার নেই পুরনো ধ্যানধারণার একই লোকগুলোকে, প্রয়োজন নতুন প্রজন্ম, নতুন আলোচ্যবিষয়,’।

বরিসের পাশাপাশি সংসদের পর্যাপ্ত সমর্থন নিয়ে জাভিদ, গোভ, ডমিনিক রাব ও জেরমি হান্ট সহজেই দ্বিতীয় দফার ভোটে পৌঁছাবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।

বাকি ৫ প্রার্থী- ম্যাট হ্যানকক, রোরি স্টুয়ার্ট, আন্দ্রিয়া লিডসম, মার্ক হার্পার ও এস্টার ম্যাকভেইও নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাখা ও সুযোগ কাজে লাগানোর আশা করছেন।

উল্লেখ্য, ব্রেক্সিট ইস্যুতে সমঝোতায় পৌঁছতে ব্যর্থ হওয়ায় গত ৭ জুন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি থেকে সরে যান প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে।

তবে, নতুন নেতৃত্ব না আসা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের কথা জানিয়েছেন তিনি।

সূত্র: বিবিসি

আই//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি