ঢাকা, সোমবার   ১২ মে ২০২৫

বেগম ফয়জুন্নেছা চৌধুরানীর স্মৃতি-স্মারক দেখতে আজও দর্শনাথীরা ভীড় জমান নবাব বাড়িতে

প্রকাশিত : ১৫:৫৫, ৩ ডিসেম্বর ২০১৬ | আপডেট: ১৬:১৪, ৩ ডিসেম্বর ২০১৬

Ekushey Television Ltd.

উপমহাদেশের প্রথম ও একমাত্র মুসলিম নারী নবাব, কুমিল্লা লাকসামের বেগম ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী। তৎকালীন হোমনাবাদ পরগনার জমিদারীর দায়িত্ব দক্ষহাতে পালন করা ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী ছিলেন শিক্ষানুরাগী, তেজস্বী ও বিচক্ষণ শাসক। তার স্মৃতি-স্মারক দেখতে আজও দর্শনাথীরা ভীড় জমান নবাব বাড়িতে। যদিও রক্ষনাবেক্ষণ-সংস্কারের অভাব ও প্রভাবশালীদের দখলে আজ তা ধ্বংসের পথে। কুমিল্লার লাকসামের ডাকাতিয়া নদীর উত্তরতীরে খান বাহাদুর বাড়িতে ১৮৩৪ সালে জন্ম নেন বাংলার প্রথম নারী নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী। তার বাবা সৈয়দ আহম্মদ আলী চৌধুরী ও মা আরফান্নেছা চৌধুরীরানী। এক লাখ স্বর্ণমুদ্রা দেনমোহরে গাজী চৌধুরীর সঙ্গে.  ১৮৬০ সালে বিয়ে হয় ফয়জুন্নেসার। পরে দেনমোহরের পুরোটাই জনকল্যানে দান করেন তিনি। ভাই বোনদের মধ্যে একমাত্র ফয়জুন্নেসাই হোমনাবাদ পরগনার বিরাট জমিদারি পরিচালনা করেন। দীর্ঘ ২১ বছর এই দায়িত্ব পালন করে হয়ে উঠেন অনন্যা মহিয়ষী নারী। ১১টি কাচারির প্রত্যেকটিতে বিশুদ্ধ পানির জন্য পুকুর খনন ছাড়াও স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। ফয়জুন্নেছার জনহিতকর কাজে মুগ্ধ হয়ে তাকে নবাব উপাধি দেন রানী ভিক্টোরিয়া। এতো ব্যস্ততার মধ্যেও সাহিত্য সাধনা করতেন তিনি। ১৮৭৬ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ রুপজালাল। ১৮৯১ সালে নিজের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি জনকল্যানে ওয়াকফ করে দেন এই মহীয়ষী নারী। ২০০৪ সালে একুশে পদক পান তিনি। আর ১৯০৩ সালে পৃথীবির মায়া ছেড়ে চলে যান নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী।
Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি