ভুট্টাক্ষেতে শিশুর হাত-পা বাঁধা রক্তাক্ত মরদেহ

নওগাঁর মান্দায় নিখোঁজের ১৮ ঘণ্টা পর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ইউসুফ আলী নামে এক ১২ বছরের শিশুর ক্ষত বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে উপজেলার কাঁশোপাড়া ইউনিয়নের গঙ্গারামপুর গ্রামের বুড়ির বিলের একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। 

নিহত শিশু ইউসুফ আলী উপজেলার ভরট্ট কাঠোরডাঙ্গা গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে। সে আন্দারিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। রোববার বিকেল ৩টা থেকে সে নিখোঁজ ছিল।

পুলিশের ধারণা, পূর্ব শত্রুতার জেরে শিশুটিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। শিশুটির এক চোখ উপড়ানো ও পুরুষাঙ্গ কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।

রাজশাহী সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। সিআইডি টিম আলামত সংগ্রহের পর লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোসহ এ সংক্রান্ত মামলা দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শিশুটির পিতা রেজাউল ইসলাম বলেন, রোববার দুপুরে স্ত্রী শিরিনা আক্তার মাছ রান্না করে ইউসুফকে খেতে দেয়। কিন্তু মুরগির মাংস দিয়ে ভাত খাওয়ার বায়না ধরলে গ্রামের পোল্ট্রির দোকান থেকে বয়লার মুরগি কিনে আনি। স্ত্রী শিরিনা ছেলের জন্য মাংস রান্না শুরু করলে ইউসুফ পরে এসে খাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। 

এদিকে, শিশুটির মরদেহ পাওয়ার পর থেকে ওই পরিবারে বইছে শোকের মাতম।

নিহতের দুলাভাই আবুল কালাম বলেন, শিশু শ্যালক ইউসুফ নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এরপর সোমবার সকাল ৯টার দিকে বুড়ির বিলের সাদেকুল ইসলামের ভুট্টাখেতে তার লাশ পাওয়া যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভুট্টাক্ষেতের ভেতরে অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়ে ছিল শিশু ইউসুফের লাশ। কাপড়ের ফিতা দিয়ে দুই হাত পেছনে বাঁধা ছিল। তার একটি চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে। কেটে নেয়া হয়েছে পুরুষাঙ্গও। 

মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, হাত বাঁধা অবস্থায় এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তÍতি চলছে বলে তিনি জানান।

এনএস//