ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৪ জুলাই ২০২৫

ভেঙ্গে দেয়া হলো নেপালের পার্লামেন্ট

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:০০, ২১ ডিসেম্বর ২০২০ | আপডেট: ১৬:০১, ২১ ডিসেম্বর ২০২০

Ekushey Television Ltd.

প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির সুপারিশে নেপালের পার্লামেন্ট ভেঙে দিলেন প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারী। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ‘হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস’ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা দেন তিনি।

আজ মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকে পার্লামেন্ট ভেঙে অন্তর্বর্তী নির্বাচনের সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী ওলি। তাঁর সুপারিশ মেনে প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারীও পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ভেঙে অন্তর্বর্তী নির্বাচনের কথা ঘোষণা করেন। আগামী বছরের ৩০ এপ্রিল হবে প্রথম দফার অন্তর্বর্তী নির্বাচন। আর ১০ মে হবে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন।

এই পদক্ষেপকে ‘অসাংবিধানিক’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের একাংশের নেতা, নেপালের বিরোধী দলগুলোর নেতা ও সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞরা।

প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের পরেই প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন সাত মন্ত্রী।

ক্ষমতাসীন দলের দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধিতা চরমে পৌঁছেছিল। বিবদমান দুটি পক্ষের একটির নেতৃত্বে আছেন প্রধানমন্ত্রী ও দলের চেয়ারম্যান ওলি। অন্য পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ড।

নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির (এনসিপি) নেতা বিষ্ণু রিজাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন। তাই পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেছেন তিনি।

এদিকে এনসিপির মুখপাত্র নারায়ণকাজি শ্রেষ্ঠা বলেন, ‘পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত তড়িঘড়ি নেওয়া হয়েছে। কেননা আজকের (গতকাল) বৈঠকে সব মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন না। এটা গণতান্ত্রিক রেওয়াজের বিরোধী এবং এ ধরনের সিদ্ধান্ত জাতিকে পেছনে ঠেলে দেবে। এটা বাস্তবায়ন হতে পারে না।’

এনসিপির আরেক নেতা মাধব নেপালও বলেন, ‘পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার বিষয়টি অসাংবিধানিক। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা উচিত।’  
এএইচ/এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি