ঢাকা, সোমবার   ২০ মে ২০২৪

ভোলার নতুন ক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫৭, ১ নভেম্বর ২০১৭

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় আবিষ্কৃত নতুন গ্যাস ক্ষেত্রশাহবাজপুর ইস্ট-থেকে পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছেবুধবার সকাল ১০টার দিকেড্রিল স্টেম টেস্টএর মাধ্যমে নতুন ওই কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়। এসময় গ্যাসের চাপ ছিল প্রায় পাঁচ হাজার পিএসআই

এর আগে গত ২৩ অক্টোবর নতুন এই গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া যায়। নতুন এই গ্যাসক্ষেত্রের অবস্থান বোরহানউদ্দিন উপজেলায় এবং শাহবাজপুরের বর্তমান গ্যাসক্ষেত্র থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটার পূর্ব দিকে। এই গ্যাস ক্ষেত্রে ৭২০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুদ রয়েছে বলে ধারণা বাপেক্স কর্মকর্তাদের।

বাপেক্স সূত্র জানায়, নতুন কূপে ৩৫৫০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত খনন চালানো হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪০০ থেকে ৩৪৭০ মিটারের মধ্যে তিনটি স্তরে গ্যাসের অস্তিত্ব রয়েছে।

শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. হাসানুজ্জামান জানান, ভোলার শাহবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্র থেকে ২০০৯ সালের ১১ মে গ্যাস উত্তোলন শুরু করে বাপেক্স। এখানে চারটি কূপের মধ্যে তিনটি থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস তোলা হচ্ছে। শাহবাজপুরে মোট ৩৫ বিলিয়ন ঘনফুটের বেশি গ্যাস মজুদ রয়েছে বলে জানান তিনি।

তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ২৬টি গ্যাস ক্ষেত্রে ২০১৬ সালে পহেলা জানুয়ারি পর্যন্ত গ্যাসের মজুদ ছিল ১৩ দশমিক ৬০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।

পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, দেশের বিদ্যুৎকেন্দ্র, সার কারখানা, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ বাসাবাড়িতে প্রায় ৩০ লাখ গ্রাহককে গ্যাস দিতে হয়। উৎপাদিত গ্যাসের ৪২ শতাংশ যায় বিদ্যুৎকেন্দ্রে; ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ গ্যাস ব্যবহার করা হয় ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্রে। আর ১৭ শতাংশ গ্যাস শিল্প কারখানায়, ১১ শতাংশ আবাসিক সংযোগে, ৭ শতাংশ সার কারখানায় এবং ৬ শতাংশ গ্যাস যানবাহনে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

 

/ আর / এআর


Ekushey Television Ltd.





© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি