ভ্যাট ১৫ শতাংশই বহাল রয়েছে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে
প্রকাশিত : ১৭:২৮, ১ জুন ২০১৭ | আপডেট: ১৯:১৫, ১ জুন ২০১৭

ভ্যাট ১৫ শতাংশই বহাল রাখা হয়েছে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে; যা বহাল থাকবে আগামী ৩ বছর। পহেলা জুলাই নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর করে ৯১ হাজার ১৭৬ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের আশা করছেন অর্থমন্ত্রী। যা এনবিআরের মোট রাজস্ব আহরণ পরিকল্পনার ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশ। তবে ভ্যাটের আওতার বাইরে নিয়ে আসা হয়েছে ১ হাজার ৪৩টি পণ্য।
বহুল আলোচিত-সমালোচিত ভ্যাট আইনেই অনড় থাকলেন অর্থমন্ত্রী।
তবে নতুন আইন অনুযায়ি মাসিক ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত টার্নওভারের জন্য কোন কর দিতে হবে না। এছাড়া যেকোন প্রতিষ্ঠানের মাসিক টার্নওভার সাড়ে ১২ লাখ টাকার নিচে হলে ৪ শতাংশ হারে কর দেবার বিধান রাখা হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাক্তি করমুক্ত আয়সীমা আগেরবারের মতোই আড়াই লাখ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে। নারী ও ৬৫ বছরের উর্ধ্বে করদাতার আয়মুক্ত সীমা ৩ লাখ, মুক্তিযোদ্ধাদের করমুক্ত আয়সীমা ৪ লাখ ২৫ হাজার ও প্রতিবন্ধীদের করমুক্ত আয়সীমা ৪ লাখ টাকা করা হয়েছে।
আর কর্পোরেট কর হিসেবে অঞ্চলভিত্তিক নূন্যতম হার যথাক্রমে ৫, ৪, ৩ হাজার টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। পরিবেশবান্ধব কারখানায় আয়কর ১৪ শতাংশ, সিগারেট, বিড়ি, জর্দা ও গুলসহ তামাকজাত পণ্য উৎপাদনে ৪৫ শতাংশ করারোপ করা হয়েছে। নিট পরিসম্পদের মূল্যমান ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা অতিক্রম করলে ৩ হাজার টাকা সারচার্জ প্রদানের বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়েছে বাজেটে। তৈরি পোশাকশিল্পে কর্পোরেট কর হার ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ প্রস্ত াব করা হয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে কর অব্যহতির সীমা ৩০ লাখ থেকে ৩৬ লাখ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
এছাড়া ভ্যাট আওতা থেকে অব্যহতি পেয়েছে ১ হাজার ৪৩ টি পণ্য। এর মধ্যে রয়েছে ৫৪৯ টি ভোগ্যপণ্য, ৯৩ টি জীবনরক্ষাকারী ওষুধ ও কৃষি সংশ্লিষ্ট ৪০৪ টি পণ্য। মূল্য সংযোজন করের আওতায় নিবন্ধিত সাড়ে ৮ লাখ শিল্প ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থাকলেও কর পরিশোধ করে ৩২ হাজার। বাকী প্রতিষ্ঠানগুলোকেও করের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনার কথা জানান অর্থমন্ত্রী।
আরও পড়ুন