ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪

মজুরি ঘোষণার পর আনন্দ মিছিল চা শ্রমিকদের

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৮:৫২, ২৮ আগস্ট ২০২২ | আপডেট: ০৮:৫৩, ২৮ আগস্ট ২০২২

চা শ্রমিকদের মজুরি ৫০ টাকা বাড়িয়ে ১৭০ টাকা নির্ধারণের সিদ্ধান্তের পর রাতে শ্রীমঙ্গলের ভাড়াউড়া চা বাগানে আনন্দ মিছিল করেছেন শ্রমিকরা। আন্দোলনকারী চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা কাজে যোগ দেওয়ার কথা বলেছেন।

আন্দোলনের ১৯তম দিনে শনিবার বিকালে চা বাগান মালিক পক্ষের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর নতুন এই মজুরির ঘোষণা আসে। ঘোষণা শোনার জন্য হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন চা বাগানের শ্রমিকরা জড়ো হয়েছিলেন।

মজুরি বাড়ানোর পর প্রধানমন্ত্রী রোববার থেকে শ্রমিকদের কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন এবং শিগগির শ্রমিকদের আগ্রহ অনুযায়ী তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, “পুরো শ্রমিক জাতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখের দিকে তাকিয়ে ছিল। তিনি মজুরি ঘোষণা করেছেন, শ্রমিকরা মেনে নিয়েছে। আমরা কাজে ফিরে যাবো। তিনি মানসম্মত মজুরি নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তার প্রতি আমরা চির কৃতজ্ঞ।”

“আমরা ১৯ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছি। এই ঘোষণায় আমরা খুশি। কাল থেকে আমরা শ্রমিকদের কাজে যোগদানের জন্য বাগানে বাগানে খবর পাঠাচ্ছি।”

একই সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে আমরা রাজী। কারণ, শ্রমিকরা তাদের বক্তব্যে বারবার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যা বলবেন আমরা তাতেই রাজী থাকব এবং কাজে ফিরে যাব।”

এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গলের ভাড়াউড়া চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি নুর মোহামদ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নিজে ঘোষণা দিয়েছেন এবং আমাদের মজুরি ৫০ টাকা বাড়িয়েছেন এতে আমরা খুশি। কাল রোববার ছুটির দিন, তবুও আমরা কাজে যাবো।”

চা শ্রমিক নেতা পরেশ কালিন্দি জানান, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর রোববার থেকে কাজ শুরু করার জন্য তারা প্রত্যেক ভ্যালির বাগান পঞ্চায়েত কমিটির কাছে খবর পাঠাচ্ছেন। রোববার লেবার হাউজে বৈঠক করে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাবো।

হবিগঞ্জের চান্দপুর চা বাগানের শ্রমিক ভাস্কর ভৌমিক বলেন, “১৯ দিন ধরে আন্দোলন করেছি। মজুরি ৫০ টাকা বেড়েছে। এই বাজারে চলা দায়। তারপরও কাল থেকে কাজে যাব।”

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সিলেট ভ্যালির সভাপতি রাজু গোয়ালা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নিজে মজুরি বাড়িয়েছেন। আমি মনে করি, সবার সেটা মানা উচিত।”

কালিঘাট চা পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি অভান তাঁতি বলেন, ‘আমরা মানসম্মত মজুরি পেয়েছি। আমরা কালিঘাট নাট মন্দিরে সাধারণ শ্রমিকরা জড়ো হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিকে তাকিয়ে ছিল শ্রমিকরা। ঘোষণা দেওয়ার পর এখন সবাই খুশি। আমাদের মধ্যে বিভক্তি নেই।’

প্রসঙ্গত ৩০০ টাকা দৈনিক মজুরির দাবিতে চলতি মাসের ৯ আগস্ট থেকে চার দিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি ও ১৩ আগস্ট থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করে আসছিলেন চা শ্রমিকরা। আন্দোলন সফল করতে সড়ক, মহাসড়ক, রেলপথ অবরোধ করতে দেখা গেছে তাদের। 

দাবি আদায়ে গত কয়েক দিন ধরে বেশ উত্তাল ছিল চা বাগানগুলো।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি