মরক্কোয় পাশাপাশি দুটি ভবনধসে নিহত অন্তত ২২
প্রকাশিত : ২২:৫৩, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
মরক্কোর প্রাচীনতম শহর ফেজে পাশাপাশির দুটি ভবন ধসে পড়ে অন্তত ২২ জন নিহত এবং আরো ১৬ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) প্রসিকিউটরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ভবন দুটির মধ্যে একটি খালি ছিল, আর অন্যটিতে একটি আকিকা অনুষ্ঠান চলছিল—মুসলিমদের মধ্যে শিশুর জন্ম উপলক্ষে আয়োজিত একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব।
প্রসিকিউটর কার্যালয় বলেছে, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, অনুষ্ঠানের ভবনে আটটি পরিবার থাকতেন। দুটি ভবনই ছিল চার তলা।
একজন বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিনি তার স্ত্রী ও তিন সন্তানকে হারিয়েছেন। উদ্ধারকারীরা একটি মরদেহ তুলতে পেরেছে, বাকিগুলোর জন্য তিনি অপেক্ষা করছেন। এসএনআরটি নিউজের ফুটেজে দেখা গেছে, উদ্ধারকর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা একসঙ্গে ধ্বংসস্তূপ সরাচ্ছেন।
রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম এসএনআরটি নিউজ বলেছে, ঘটনাস্থলের আল-মুস্তাকবাল এলাকায় ভবনগুলোতে অনেকদিন ধরে ফাটল দেখা যাচ্ছিল।
অষ্টম শতক থেকে গড়ে ওঠা ফেজ মরক্কোর তৃতীয় বৃহত্তম শহর। দুই মাস আগে জীবনযাত্রার অবনতি ও দুর্বল জনসেবার প্রতিবাদে দেশজুড়ে যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে, সেটির একটি কেন্দ্র ছিল ফেজ।
২০৩০ বিশ্বকাপ ও চলতি মাসের আফ্রিকান কাপ অব নেশন্সের ম্যাচ আয়োজিত হবে ফেজ শহরে। এখানেই রয়েছে মরক্কোর সবচেয়ে দরিদ্র কয়েকটি এলাকা।
জানুয়ারিতে আবাসন বিভাগের সহকারী মন্ত্রী আদিব বেন ইব্রাহিম জানান, দেশজুড়ে প্রায় ৩৮ হাজার ৮০০ ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বুধবারের দুর্ঘটনা ২০১০ সালে ঐতিহাসিক মেকনেস শহরে এক মিনার ধসে ৪১ জন নিহত হওয়ার পর অন্যতম বড় ভবনধস। মরক্কোর জনসংখ্যা, শিল্প-বাণিজ্য ও অবকাঠামোর বড় অংশ দেশের উত্তরপশ্চিম-কেন্দ্রিক। বাকি অঞ্চল কৃষি, মৎস্য ও পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল। গত অক্টোবরে তরুণদের নেতৃত্বে বিক্ষোভে দারিদ্র্য ও জনসেবায় বৈষম্য নিয়ে গভীর ক্ষোভ প্রকাশ পায়।
সূত্র: রয়টার্স
এমআর//
আরও পড়ুন










