ঢাকা, রবিবার   ২৭ জুলাই ২০২৫

মাদারীপুরে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে ঘুষ দাবি, কনস্টেবল ক্লোজড

মাদারীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৬:০৪, ২৭ জুলাই ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার বালিগ্রাম ইউনিয়নের এক বাসিন্দার কাছে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য ২৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করায় কালকিনি থানার কম্পিউটার অপারেটর কনস্টেবল মো. সোহালন খানকে ক্লোজড করা হয়েছে। 

রোববার (২৭ জুলাই) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম সোহেল রানা।

কালকিনি থানার ওসি কেএম সোহেল রানা জানান, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য এক ব্যক্তির কাছে কনস্টেবল সোহেল খান টাকা দাবি করার অভিযোগ উঠলে পুলিশ সুপার তাৎক্ষণিক অভিযুক্তকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্তির আদেশ দেন। সেই সাথে ওই ঘটনার সাথে তিনি জড়িত কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

এছাড়া জেলার কোন থানা পুলিশ কোথাও কোন অনিয়ম করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে পুলিশ সুপার কড়া হুশিয়ারি দিয়েছেন বলে জানান ওসি।

জানা যায়, ডাসার উপজেলার এক ব্যক্তি তার পাসপোর্টে থানার ঠিকানা কালকিনি আর ভোটার আইডি কার্ডে থানা দেয়া ডাসার। অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করেন তিনি। কয়েক দফা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ও ডাসার থানায় গিয়েও পাননি সেবা। শেষমেষ চলে আসেন কালকিনি থানায়। সেখানে যোগাযোগ করেন কালকিনি থানার কম্পিউটার অপারেটর মো. সোহেল খানের সাথে। তিনি গ্যারান্টি দেন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দেয়ার। এজন্য পুলিশের এই সদস্যকে দিতে হবে ২৫ হাজার টাকা। টাকা না দিলে কোন অবস্থাতেই মিলবে না এই সার্টিফিকেট। এমন কি অন্য কেউ আবেদনকারীকে সহযোগিতাও করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন পুলিশ সদস্য। 

শেষমেষ ৫ হাজার টাকা নগদ সোহেলের হাতে তুলে দিলে পহেলা জুলাই অনলাইনে আবেদন করিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন থানার এই কম্পিউটার অপারেটর। গত ২০ জুলাই জেলার পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন এই ভুক্তভোগী।

ঘটনাটি জানাজানি হলে এক পর্যায়ে জেলার পুলিশ সুপারের কান পর্যন্ত পৌঁছায়। সাথে সাথেই পুলিশ সুপার ওই কম্পিউটার অপারেটরকে পুলিশ লাইনসে ক্লোজড করেন।

কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম সোহেল রানা জানান, কালকিনি থানার কম্পিউটার অপারেটর পুলিশ সদস্য সোহেল খানের বিরুদ্ধে একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দেয়ার কথা বলে টাকা গ্রহণ করেছে মর্মে একটি অভিযোগ উঠে। অভিযোগের কথা জানতে পেরে পুলিশ সুপার সাথে সাথে তাকে মাদারীপুর পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করেছেন। এই অভিযোগের সত্যতা নিয়ে তদন্ত চলছে।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি