ঢাকা, শনিবার   ০৩ মে ২০২৫

মিয়ানমারকে সহযোগিতার কথা অস্বীকার করেছে জাতিসংঘ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৫৬, ২৭ অক্টোবর ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

বাস্তুহারা রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন পরিকল্পনায় মিয়ানামার সরকারকে জাতিসংঘ সহায়তা করছে - এমন দাবি করে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তবে রোহিঙ্গা পুনর্বাসনে মিয়ানমারকে সহযোগিতার খবর অস্বীকার করেছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের আবাসন সংস্থা  ইউএন হ্যাবিট্যাট জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের আবাসন প্রকল্পে জাতিসংঘের সহযোগিতার খবরটি সত্য নয়। বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ঘটনায় মিয়ানমারের সঙ্গে জাতিসংঘের সম্পর্ক আরও শীতল হয়ে পড়েছে। চলতি বছরের এপ্রিলেই রোহিঙ্গাদের প্রতি মিয়ানমারের আচরণের সমালোচনা করেছিল জাতিসংঘ।

২৫ আগস্ট রাখাইন প্রদেশের পুলিশ ফাঁড়ি ও তল্লাশিচৌকিতে সহিংসতার পর রোহিঙ্গাদের উপর অমানবিক নিপীড়ন শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা ও ধর্ষণ থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। এখনও হাজার হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে আসতে না পেরে খাদ্যাভাবে দিন কাটাচ্ছে রাখাইনে। কারণ তাদের ফসল ও বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে সেনাবাহিনী।

বৃহস্পতিবার ’দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার’ দাবি করে, জাতিসংঘর আবাসন বিষয়ক সংস্থা রাখাইনে বাস্তুহারাদের পুনর্বাসনে সহযোগিতা করতে একমত হয়েছে এবং সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

তবে মিয়ানমারে জাতিসংঘের আবাসন বিষয়ক সমন্বয়কের মুখপাত্র স্তানিস্লাভ সালিং বলেন, চলতি সপ্তাহে মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তারা বৈঠক করলেও এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। রয়টার্সকে পাঠানো এক ইমেইল বার্তায় তিনি বলেন, জাতিসংঘের আবাসন মিশন এই পুনর্বাসনের উপর জোর দিয়েছে। পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের সসম্মানে ফিরিয়ে নিয়ে এসে তাদের বসবাসের ব্যবস্থা করা উচিত। আন্তর্জাতিক নীতি ও আদর্শ মেনে মিয়ানমার সরকারের পুনর্বাসনের উদ্যোগকে জাতিসংঘ স্বাগত জানায় বলেও জানান তিনি।

জাতিসংঘের রীতি অনুযায়ী অবৈধভাবে উচ্ছেদ করা সকল শরণার্থীদের তাদের সম্পদ ও জমির অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।

মিয়ানমার সরকারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা দেশটির নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে পারলে তাদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে। কিন্তু রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরলেও জমি, ভিটে ও ফসল ফিরে পাবে না। এ বিষয়ে সু চি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেননি। সূত্র : রয়টার্স

এমআর/ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি