ঢাকা, শনিবার   ০৯ আগস্ট ২০২৫

মোরায় দক্ষিণাঞ্চলের ১৬জেলায় ২লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:১৫, ৩১ মে ২০১৭ | আপডেট: ১৯:৪৭, ৩১ মে ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

ঘূর্ণিঝড় মোরার তাণ্ডবে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামসহ দক্ষিণাঞ্চলের ১৬ জেলার ২ লাখ ৮৬ হাজারেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুর্গত এলাকায় শুরু হয়েছে ত্রাণ বিতরণ। নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৮ জনে। নিখোঁজদের সন্ধ্যানে সাগরে অভিযান চালাচ্ছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। এদিকে ঝড়ে ভারতের জলসীমায় ভেসে যাওয়া ৩৩ জনকে উদ্ধার করেছে দেশটির নৌবাহিনী।

ঘূর্ণিঝড় মোরা উপকূলের স্থলভাগে আঘাত হানে ১৩৫ কিলোমিটার গতিতে। স্থানীয়রা আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাওয়ায় প্রাণহানি হয়েছে কম, তবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে বাড়িঘর, গাছপালা আর ফসলি জমি। ক্ষয়ক্ষতির সেই চিত্রই এখন ফুটে উঠছে।
ঘূর্ণিঝড়ে চকরিয়া ও কক্সবাজারে গাছচাপা পড়ে নিহত হন চারজন। এছাড়া উপকূলীয় এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে ও কেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে তিনজন এবং সাগরে ডুবে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

ছয়টি মাছ ধরার ট্রলারসহ বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ রয়েছে অর্ধশত জেলে। নিখোঁজদের উদ্ধারে অংশ নিয়েছে নৌবাহিনীর ১২টি জাহাজ ও ২টি টহল বিমান। কুতুবদিয়ার অদূরে গভীর সমুদ্র থেকে ২০ জেলেকে উদ্ধার করেছে নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী জাহাজ।
এদিকে ভারতীয় জলসীমা থেকে ভেসে যাওয়া ৩৩ বাংলাদেশী জেলেকে উদ্ধার করেছে দেশটির নৌবাহিনীর একটি জাহাজ।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সেন্টমার্টিন, মহেশখালী, মাতারবাড়ি ও কুতুবদিয়ায় গাছপালা উপড়ে যাওয়ায় বহুস্থানে এখনো বন্ধ রয়েছে সড়ক যোগাযোগ। বান্দরবানে বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ লাইনে গাছ ভেঙ্গে পড়ায় বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ।

ঘূর্ণিঝড় উপকূল অতিক্রম করার পর থেকে আবারও শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম। মংলা বন্দর থেকে আন্তর্জাতিক নৌরুটসহ আভ্যন্তরীণ রুটে নৌযান চলাচল আবার শুরু হয়।
দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় এরইমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে বরাদ্দ করা ১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা উপকূলের ১৫টি জেলায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে। সেন্টমার্টিনস ও কুতুবদিয়ায় জরুরি ত্রাণ বিতরণ শুরু করেছে নৌবাহিনী। এছাড়া, দুর্গত এলাকায় জরুরি চিকিৎসা সহায়তার জন্য ২৩ সদস্যের দুটি মেডিকেল টিম কাজ করছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১৬ জেলায় ১ হাজার ৭শ’ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপণা মন্ত্রণালয়। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত সচিব জানান, ঘূর্ণিঝড়ে দক্ষিণাঞ্চলের ৫৪ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হিসেব করে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বরাদ্দ করা ত্রাণসামগ্রী দ্রুত পৌঁছে দেয়া হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি