ঢাকা, শুক্রবার   ০১ নভেম্বর ২০২৪

যারা মাতৃভাষার জন্য দিয়েছে প্রাণ, সেই দেশেই চরমভাবে উপেক্ষিত মাতৃভাষা

প্রকাশিত : ১৮:৫১, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ | আপডেট: ১৮:৫১, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

পৃথিবীতে খুবকম দেশই আছে যারা মাতৃভাষাকে রাঙ্গা করতে অকাতরে দিয়েছে প্রাণ। আবার সময়ের ব্যবধানে সেই দেশের মাতৃভাষা চরমভাবে উপেক্ষিত, এমন দেশও বোধ হয় খুঁজে পাওয়া যাবেনা। ভাষা আর সংস্কৃতি থেকে বিচ্যুত জাতি যাযাবর হিসেবেই পা বাড়ায় প্রবহমান গড্ডালিকায়। সর্বস্তরে বাংলাভাষাকে সমুন্নত রাখতে আদালতের আদেশও যেন লজ্জা। আর লজ্জা আরো বাড়িয়ে দেয়, যখন খোদ উচ্চ আদালতে ব্যবহারিক ভাষা হয়ে ওঠে ইংরেজী। শুধু এমন নাম ফলক দেখে বোঝার উপায় নেই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে না বিদেশে। নাম ফলকে বাংলা লেখার বাধ্য বাধকতা থাকলেও মানছে না কেউ। শুধু কি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান? না মানার প্রবনতা আরো বেশি সরকারি আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানে। তার ওপর ইংরেজী শব্দ গুলোকেই লেখা হচ্ছে বাংলায়। তাই না শেখা হচ্ছে প্রকৃত বাংলা বা ইংরেজী। ভাবখানা এমন, বাংলায় প্রতিষ্ঠানের নাম লেখা যেন লজ্জার। কোনো নীতিমালা করে নয়, বরং ইতিহাস আর বিশ্ব প্রেক্ষাপট থেকেই মাতৃভাষার মর্যাদা দাবি বরেণ্যদের। শাসন ব্যবস্থাকে গণমানুষের আরো কাছাকাছি নিতে উচ্চ আদালতে বাংলা ব্যবহারের দাবি ভাষা সৈনিকের। তবে থেমে নেই মাতৃভাষাকে সমুন্নত রাখার আন্দোলন। ব্যাক্তি উদ্যেগে পোস্টার ছাপিয়ে মানুষকে সচেতন করার কাজও করছেন কেউ কেউ। দুনিয়ার সব মাতৃভাষা বেঁচে থাক আপন স্বত্ত্বা হয়ে, এমন প্রত্যাশা সবার।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি