যুক্তরাষ্ট্রে ১৯ দেশের নাগরিকদের গ্রিনকার্ড-নাগরিকত্ব স্থগিত
প্রকাশিত : ১১:৩৪, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১১:৩৮, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন, গ্রিন কার্ড এবং নাগরিকত্ব প্রক্রিয়ার আবেদন স্থগিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) থেকে ১৯টি অ-ইউরোপীয় দেশের ওপর এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
জাতীয় ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স থেকে এ খবর জানা গেছে।
স্থগিতাদেশ তালিকায় থাকা ১৯টি দেশের ওপর গত জুন থেকে আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। সর্বশেষ সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে অভিবাসনে আরও কঠোরতা যোগ করছে ট্রাম্প প্রশাসন।
যেসব দেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে এর মধ্যে- আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন রয়েছে। যারা জুন থেকেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সম্পূর্ণ প্রবেশ স্থগিত ছিল।
অন্যদিকে ১৯ দেশের তালিকায় আংশিক নিষেধাজ্ঞায় থাকা বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান এবং ভেনেজুয়েলাও রয়েছে।
এরফলে এসব দেশের নাগরিকরা আর যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ড ও নাগরিকত্ব পাবেন না।
এই ১৯ দেশের অভিবাসন কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য মার্কিন সরকার তাদের অফিসিয়াল বিবৃতিতে ন্যাশনাল গার্ডের দুই সেনার ওপর হামলার কারণকে দেখিয়েছে।
জারি করা সরকারি স্মারকে উল্লেখ করা হয়েছে, গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ডের দুই সদস্যের ওপর হামলায় এক আফগান নাগরিককে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই হামলায় এক সেনা নিহত এবং আরেকজন গুরুতরভাবে আহত হন।
গতকাল ট্রাম্প মন্ত্রিসভার বৈঠকে বসেন। সেখানে সোমালিয়ার শরণার্থীদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি বিষেদাগার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি তাদের ‘আবর্জনা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। এমনকি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেত্রী ও কংগ্রেস সদস্য ইলহান ওমরকেও আবর্জনা বলে মন্তব্য করছেন তিনি। ইলহান মার্কিন নাগরিক হলেও তার পূর্বপুরুষরা সোমালিয়ার বাসিন্দা।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে দায়িত্বে ফেরার পর থেকে ট্রাম্প কঠোরভাবে অভিবাসন প্রয়োগকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। তার উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে মার্কিন প্রধান শহরগুলোতে ফেডারেল এজেন্ট পাঠানো এবং যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে আশ্রয়প্রার্থীদের ফিরিয়ে দেওয়া।
এএইচ
আরও পড়ুন










