ঢাকা, শনিবার   ০৩ মে ২০২৫

রোহিঙ্গা নিপীড়ন নিয়ে ট্রাম্পের কিছু বলা উচিত, করা উচিত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:৩৯, ৩০ অক্টোবর ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে অব্যাহত রয়েছে নির্মম জাতিগত নিধন। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাত থেকে রেহাই পেতে গত ২৫ আগস্ট থেকে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ৬ লাখের বেশি সদস্য সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে গেছে। পরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গাদের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে এবং যারা প্রতিরোধ করছে তাদেরকে হত্যা করছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।

জাতিসংঘের তথ্য মতে, রাখাইন রাজ্যে পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা অবশিষ্ট আছে। এর অধিকাংশই আগামী সপ্তাহগুলোতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। সেনাবাহিনী তাদের অনেককেই শরণার্থী শিবিরে পাঠিয়ে দিয়েছে। যেখানে মানবিক দাতা সংস্থা ও সাংবাদিকদের প্রবেশের অনুমতি নেই।

কয়েক প্রজন্ম ধরে মিয়ানমারে বসবাস করে আসার পরও রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে এই পাশবিক আচরণ করা হচ্ছে। বার্মার সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধরা তাদেরকে বিদেশি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে মনে করে।

মিয়ানমারে কার্যত নৃশংসতার শিকার রোহিঙ্গাদের সুরক্ষার জন্য কেউই নেই। এমনকি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয়ী অং সান সু চিও রোহিঙ্গাদের পাশে নেই।

জাতিসংঘের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইয়াংহি লি গত সপ্তাহে বলেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ‘ঘৃণা এবং শত্রুতা’ ঠেকিয়ে দেশের একমাত্র সম্মানিত নেতা হতে পারেন এমন একমাত্র ব্যক্তি হচ্ছেন সু চি। তিনি জনগণের কাছে গিয়ে বলতে পারেন, ‘চলুন, একটু মানবিকতা দেখাই।’ কিন্তু অং সান সু চি এখনো নীরব আছেন।

মানবতাবিরোধী এই অপরাধের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ১৮ অক্টোবর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেছেন, এ নৃশংসতার স্বাক্ষী হয়ে ব্যর্থভাবে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না বিশ্ব। এই নিপীড়নের জন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নেতৃত্বকে জবাবদিহি করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

কয়েকদিন পরে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর মিয়ানমারের বর্তমান এবং সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের ইঙ্গিত দেয়। রাখাইনে সহিংসতায় জড়িত সেনাবাহিনীর ইউনিটগুলোকে মার্কিন সহায়তার অযোগ্য বিবেচনা করা হবে বলে জানানো হয়।

পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের নিরাপদে, সহজে ও স্বেচ্ছা প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। এছাড়া রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত বৈষম্যের মূল কারণ খুঁজে বের করার আহবান জানানো হয়।

সূত্র : ওয়াশিংটন পোস্ট

এমআর


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি