ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

রোহিঙ্গা সংকট সমাধান করতেই হবে: জাতিসংঘ মহাসচিব

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:১৬, ২৯ আগস্ট ২০১৮ | আপডেট: ১৩:৫১, ২৯ আগস্ট ২০১৮

রোহিঙ্গা সংকট অনন্তকাল ধরে চলতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতারেস। তিনি বলেন এই সমস্যার সমাধান করতেই হবে।

মঙ্গলবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গুরুত্বপূর্ণ উন্মুক্ত  আলোচনার আয়োজন করা হয়। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার এক বছর পূর্তিতে আয়োজিত সভায় এভাবেই জোরালোভাবে নিজের অবস্থান তুলে ধরলেন সংস্থাটির মহাসচিব।

গত জুলাই মাসে কক্সবাজার সফরের সময় অ্যান্তেনিও গুতারেস বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের কাছ মর্মস্পর্শী বর্ণনা শুনেছেন। মঙ্গলবারের সভায় তা তুলে ধরেন তিনি।

নিরাপত্তা পরিষদের চলতি আগস্ট মাসের প্রেসিডেন্ট যুক্তরাজ্যের আয়োজনে এতে পরিষদের ১৫টি সদস্য রাষ্ট্রের বাইরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।

রোহিঙ্গা সংকটটি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদ প্রেসিডেন্সিয়াল স্টেটমেন্ট গ্রহণের সময় যে একতা দেখিয়েছিল, সেই একতা ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, এ ক্ষেত্রে কফি আনান কমিশনের সুপারিশমালার পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে। জাতিসংঘ এবং এর বিভিন্ন সংস্থাকে রাখাইন রাজ্যে বাধাহীন প্রবেশাধিকার দেওয়ার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া একবছর ধরে রোহিঙ্গা ইস্যুতে তার ব্যক্তিগত পদক্ষেপসহ জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে সব ব্যবস্থা নিয়েছে, সেগুলোর কথাও উল্লেখ করেন অ্যান্তেনিও গুতারেস।

সভায় ইউএনএইচসিআর`র শুভেচ্ছা দূত মিজ কেইট ব্লানশেট বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে নিরাপত্তা পরিষদকেই দায়িত্ব নিতে হবে।

এ সময় জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে তার দেশের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ও নিজেদের অবস্থানের কথা তুলে ধরেন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের আগস্ট মাসে নিরাপত্তা চৌকিতে আরসার হামলাকে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাবিরোধী অভিযানের কারণ বলা হলেও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে দিতে এবং তাদের ফেরার সব পথ বন্ধ করতে আরসার হামলার আগে থেকেই পরিকল্পিত সেনা-অভিযান শুরু হয়েছিল। চলমান জাতিগত নিধনে হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় সাড়ে ৭ লাখ মানুষ। এক বছরেও মিয়ানমারের এই পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য কোনও পরিবর্তন ঘটেনি। এখনও আশার আলো দেখার মতো, নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী হওয়ার মতো অবস্থায় নেই সংখ্যালঘু রোহিঙ্গারা।

একে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি