রয়টার্সের সাংবাদিকের সাজার সঙ্গে মানবাধিকারের সম্পর্ক নেই: সু চি
প্রকাশিত : ১৫:৫২, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮
রাখাইনের রোহিঙ্গা নিপীড়ন নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে মিয়ানমার আদালতের সাজা দেওয়ার পক্ষে সাফাই গেয়েছেন দেশটির কার্যত নেত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সু চি। তাদের সাজা দেওয়ার সঙ্গে মত প্রকাশের স্বাধীনতার কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি তাঁর।
আজ বৃহস্পতিবার ভিয়েতনামের হ্যানয়ে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো নিয়ে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) এক সম্মেলনে সু চি এসব কথা বলেন।
গণতান্ত্রিক নেতা হিসেবে দুই সাংবাদিককে কারাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্তে আপনার অনুভূতি কি, ফোরাম মডারেটরের এমন প্রশ্নের জবাবে সু চি বলেন, সাংবাদিক হিসেবে তাঁদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়নি, তাদের কারাদণ্ড হয়েছে কারণ আদালত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা দাপ্তরিক গোপনীয়তা আইন ভেঙেছে। দুই সাংবাদিক সাত বছরের দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন।
সু চি বলেন, বেশিরভাগ মানুষ ওই রায়ের সারসংক্ষেপ পড়েছে কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে, এর (রায়) সঙ্গে মত প্রকাশের স্বাধীনতার কোনো সম্পর্ক নেই। সম্পর্ক আছে অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্টের। আমরা যদি আইনের শাসনে বিশ্বাস করি, তাহলে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ও এই বিচার কেন ভুল হয়েছে তা তুলে ধরার পুরো সুযোগ আছে তাদের।
চলতি মাসের শুরুতে মিয়ানমারের আদালত রয়টার্সের সাংবাদিক ওয়া লোন (৩২) ও কিয়াও সো ওকে (২৮) সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়। ঔপনিবেশিক আমলের রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়। আন্তর্জাতিক মহল দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দেওয়া এ রায়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়। বিশ্বজুড়ে রয়টার্সের এ দুই সাংবাদিককে মুক্তি দেওয়ার দাবি ওঠে।
রোহিঙ্গা গ্রামে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হত্যাযজ্ঞ ও বর্বরতা নিয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে তা বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছিলেন এই দুই সাংবাদিক।
সূত্র : রয়টার্স।
/ এআর /
আরও পড়ুন