ঢাকা, শুক্রবার   ২৪ অক্টোবর ২০২৫

শত উন্নয়নের পরও দুর্ভোগে হাওরবাসী (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩৪, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১৩:৫২, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

Ekushey Television Ltd.

বিপুল সম্ভাবনার হাতছানি দেয়া হাওরে হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে গত এক দশকে। এরপরও হাওরবাসীর জীবনে রয়েছে অনেক দুর্ভোগ আর না পাওয়ার বেদনা। সোনার হরিণের মতোই ‘সুখ’ নামের শব্দটি যেন বারবার ফাঁকি দিয়ে যায় তাদের।

সমতলের জলরাশির মধ্যে জমানো এতো বিশাল সম্পদ বিশ্বের আর কোথাও নেই। বছরের ৬ মাস এই পানিতে থাকে মাছ। মানুষের জীবন জীবিকার সব প্রয়োজন মেটে এই হাওড় থেকে। জলজ প্রকৃতি ও জীব বৈচিত্রে অনন্য দেশের ৭ জেলার দেড় শতাধিক হাওড়। যতোটা সম্ভাবনা, তার সাথে ততোটাই যেন পাল্লা দিয়ে ধুঁকছেন হাওরের জেলেরা। চার দিকে মাছ, কিন্তু জেলের জালে মাছ নেই।

এ জেলের বলেন,  এখানে আমরা তেমন লাভবান হইনা, অনেক পরিশ্রমের পরও দৈনিক দুই- তিনশোর বেশি টাকা আয় করতে পারি না।

দিন দিন জনসংখ্যা বাড়বে প্রকৃতির নিয়মে। কিন্তু বসত ভিটাতো বাড়ে না। এ নিয়ে কেউ ভাবেও না।

বিষয়টি নিয়ে হাওরাঞ্চলবাসীর সমন্বয়ক ড. হালিম দাদ খান বলেন, হাওরটাকে অনেকাংশে আমরা নিজেরাই ধ্বংস করছি। আর্থাৎ, অপরিকল্পিতভাবে রাস্তাঘাট তৈরী করছি, বিভিন্ন স্থাপনা তৈরী করছি। আমরা শহরের সভ্যতার সঙ্গে পরিচিত হতে হতে এখন হাওরটাকে শহরে পরিণত করে ফেলার একটা চেষ্টা করছি।
 
বছরের ছয় মাস পানি থাকে। কাজ থাকে না বেশিরভাগ মানুষের। সবচেয়ে আরামের আর কম পয়সায় যাতায়াতের পথ করে দেয় প্রকৃতির পানি, কিন্তু সে পানি চলতে কারো কারো একটা হাজার টাকার খেয়ারও বড্ড অভাব।

এসব নিয়ে ভাবছে কি সরকার? হাওর উন্নয়ন বোর্ড নামে যে প্রতিষ্ঠানটি আজ ২০ বছর ধরে যাত্রা শুরু করেছে তাদেরই বা অবদান কী?

এ নিয়ে হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: মাশুক মিয়া বলেন, ২০৩২ সাল পর্যন্ত হাওরের যে মাষ্টার প্ল্যানিং মেয়াদ আছে এ সময়ে আমরা আরও কী কী প্রকল্প নিতে পারি এবং আমাদের বর্তমান যে চিন্তাভাবনা আছে তার সাথে সমন্বয় করে একটা পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন করব।

কোথাও কোথাও চিকিৎসা সুবিধা হাতের কাছে আসলেও বেশিরভাগ মানুষের চিকিৎসা রয়ে গেছে এখনও অধরা।

এমএম/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি