ঢাকা, বুধবার   ৩০ জুলাই ২০২৫

সভাপতির পদ ছাড়ছেন না অমিত শাহ

প্রকাশিত : ১২:১২, ৬ জুন ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

লোকসভা নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয়ের পর নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন মোদি। যেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন দলের সভাপতি অমিত শাহ।

বিজেপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যিনি সরকারের কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান, তাকে দলের শীর্ষ পদ ছেড়ে দিতে হয়। অমিত শাহ’রও তাই করার কথা, কিন্তু বেধেছে জোট।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়ে দলের সভাপতির পদ ছেড়ে দেয়ার কথা থাকলেও, এখনি ছাড়ছেন না বলে জানিয়েছেন অমিত শাহ। মানছেন না দীর্ঘদিন ধরে চলা ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নিয়ম। অর্থাৎ, একজন নেতা সরকার বা দলের একটি পদেই থাকতে পারবেন।

বিজেপির শীর্ষ সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, নিয়ম অনুসারে বিজেপি সভাপতি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পাওয়ায় নতুন সভাপতি নির্বাচন করার কথা থাকলেও এখনই এই পদ ছেড়ে নতুন নির্বাচন করার কোনও লক্ষণ নেই দলে।

জগৎ প্রকাশকে যখন নতুন মন্ত্রিসভায় রাখা হলোনা, অনেকেই ধারণা করেছিলেন দলের শীর্ষ পদে তাকে রাখা হবে বলেই হয়তো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়নি। কিন্তু সে ধারণা ভুল প্রমাণ করে একই মন্ত্রিত্ব ও দলের সভাপতির পদ ধরে রাখছেন অমিত শাহ।

কিন্তু দলের অনেকেই এখন বলছেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের কাজে অসন্তুষ্ট বলেই প্রধানমন্ত্রী তাকে সরিয়েছেন।

২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বড় জয় নিয়ে সরকার গঠন করেছিল মোদি। সে সময় দলের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন  রাজনাথ সিংহ। কিন্তু তিনি মন্ত্রী হওয়ার দু’মাসের মধ্যে অমিত শাহ তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন।

বিজেপি সূত্রে জানা যায়, এবারেও সেটি হলে এখনই তার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যেত। কিন্তু হচ্ছে উল্টোটা। কী করে অমিত শাহ দু’টি পদই রাখতে পারেন, তার পথ খোঁজা হচ্ছে।

হতে পারে নিজে সভাপতি পদে থেকে অন্য কাউকে কার্যনির্বাহী সভাপতি করবেন তিনি। বিজেপির এক নেতার কথায়, ‘‘এই মুহূর্তে যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে মোদি-শাহ জুটি এসেছেন, তাতে তাদের মুখের উপর কারও কিছু বলার নেই। অদূর ভবিষ্যতে সঙ্ঘ ও দলের ভেতর থেকে চাপ আসলে তখন পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেখা যাবে।’’

বলা হচ্ছে নতুন সরকার আসার পর শাসক জুটি যে পথে চলছে, তাতে প্রবীণ নেতারা যে একে একে গুরুত্ব হারাচ্ছেন, তা কারও নজর এড়াচ্ছে না।

সুষমা স্বরাজ মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন না। অরুণ জেটলি আগেই শারীরিক কারণে সরে দাঁড়িয়েছেন। রাজনাথকে খাতায় কলমে ‘দুই নম্বর’ রেখে দিলেও অমিতেরই ওজন বাড়ছে। এমনকি আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার যে সব কমিটি তৈরি হয়েছে, তাতে নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি ছাড়া বাকিগুলিতে রাজনাথকে শামিল করা হয়নি। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েও ‘বিনিয়োগ ও বৃদ্ধি’ এবং ‘রোজগার ও দক্ষতা উন্নয়ন’ কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন অমিত শাহ।

এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে, রাজ্যসভার নেতা কে হবেন? জেটলি শারীরিকভাবে অনেকটা অক্ষম। অথচ রাজ্যসভায় তার মেয়াদ রয়েছে ২০২৪-এর এপ্রিল পর্যন্ত। ফলে তাকে সে পদে রেখেই উচ্চকক্ষে বিরোধীদের মোকাবিলার ভার অন্য কোনও নেতাকে দেওয়া হয় কি না, সেটাই দেখার বিষয়।

সূত্র: আনন্দবাজার

আই//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি