ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪

পিকেসএফের কিশোর-কিশোরী সম্মেলন

সমন্বিত উন্নয়ন ও নেতৃত্ব বিকাশই সম্মেলনের লক্ষ্য

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৩৮, ১৩ অক্টোবর ২০১৮ | আপডেট: ১৯:৪৩, ১৪ অক্টোবর ২০১৮

দেশে প্রথমবারের মতো বৃহৎ পরিসরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কিশোর কিশোরী সম্মেলন ২০১৮। আগামী ২১ অক্টোবর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সম্মেলনের আয়োজক পিকেএসএফ (পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন)। কিশোর কিশোরীদের মধ্যে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটানো, তাদেরকে সমন্বিত উন্নয়নের অংশীদার করা এ সম্মেলনের লক্ষ্য বলে একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে জানিয়েছেন পিকেএসএফ - এর চেয়ারম্যান ড. খলীকুজ্জামান।

ওই দিন ( ২১ অক্টোবর) সকাল দশটায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন বলে একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে জানিয়েছেন পিকেএসএফ- এর এজিএম আবদুল মতিন। তিনি আরো জানান, সম্মেলনে সারা দেশ থেকে ৭০০ কিশোর কিশোরী অংশগ্রহণ করবেন।

দিনব্যাপী এসম্মেলনটি দু`ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সম্মেলনের প্রথম পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সভাপতিত্ব করবেন পিকেএসএফ চেয়ারম্যান ড. খলীকুজ্জামান।

পিকেএসএফ শিশু-কিশোর ও তরুণদের উন্নত সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের বিকাশ ও ক্রীড়ামনস্ক করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ‘সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া কর্মসূচি’ পরিচালনা করে আসছে। এর আওতায় দেশব্যাপী সৃজনশীল, নৈতিকতা ও জ্ঞানভিত্তিক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নির্বাচিত কিশোর-কিশোরীদের নিয়েই আয়োজিত হতে যাচ্ছে এ সম্মেলন।

স্বচ্ছ এবং নিয়মতান্ত্রিক দীর্ঘ প্রক্রিয়ার দেশব্যাপী সব উপজেলা ও থানা এবং পরবর্তীতে জেলা পর্যায়ে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য কিশোর-কিশোরী বাছাই করা হয়। প্রথম ধাপে প্রতিটি উপজেলা হতে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ১০ জন নির্বাচন এবং পরবর্তীতে জেলাধীন সব উপজেলা/থানা হতে নির্বাচিতদের নিয়ে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জেলা ভিত্তিক  ১০ জন কিশোর-কিশোরীকে নির্বাচন করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় ৬৪টি জেলা হতে ১০ জন করে নির্বাচিত ৬৪০ জন এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগর হতে অনুরূপ প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত ৬০ জনসহ মোট ৭০০ জন কিশোর-কিশোরীকে বাংলাদেশ কিশোর-কিশোরী সম্মেলন ২০১৮-এর জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করা হয়েছে। দেশের প্রায় ১১ হাজার স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার প্রায় এক লক্ষ শিক্ষার্থী বিভিন্ন পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রতিটি পর্যায়ে বিজ্ঞ বিচারকমন্ডলী যোগ্য প্রার্থী বাছাইয়ে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন ।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের নবম হতে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিযোগিতার জন্য বিবেচিত হয়েছে। ৪টি পরিসরে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরিসরগুলো ছিল: (১) প্রবন্ধ ও সৃজনশীল লেখা, (২) বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক প্রতিযোগিতা (উপস্থিত বক্তৃতা, সমসাময়িক বিষয়ে কুইজ, বিতর্ক) (৩) নেতৃত্বের গুণাবলী (শুদ্ধাচার, নৈতিকতা, মূল্যবোধ, আত্মবিশ্বাস, উপস্থাপন, দায়িত্ববোধ ও সময়ানুবর্তিতা) (৪) বিদ্যমান সাফল্য (শিক্ষাগত সাফল্য, পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কর্মকা-, পারিবারিক/ধর্মীয় মূল্যবোধের অনুশীলন)।

বাংলাদেশ কিশোর-কিশোরী সম্মেলন-২০১৮ আয়োজনের বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে গিয়ে মাঠপর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ও সহযোগিতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন পিকেএসএফ চেয়ারম্যান ড. খলীকুজ্জামান। উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা, সংস্কৃতিকর্মী ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ব্যক্তিবর্গ স্বতঃস্ফুর্থভাবে উপস্থিত থেকে সহযোগিতা করেছেন।

পিকেএসএফ সূত্রে জানা যায়, সম্মেলনের জন্য নির্বাচিত ৭০০ জন কিশোরী কিশোরী পিকেএসএফ- এর বিভিন্ন কর্মকান্ডের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করবে। নৈতিকতা, সামাজিক অবক্ষয় রোধ করে মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণে নানা পরিকল্পনা পিকেএসএফ- এর রয়েছে।

প্রসঙ্গত কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্য নিয়ে পিকেএসএফ ১৯৯০ সালে যাত্রা করে। প্রতিষ্ঠার পর হতে ক্ষুদ্রঋণে অভিনিবেশ এর কর্মকাণ্ড পরিচালিত হলেও দারিদ্র্যের বহুমাত্রিকতা বিবেচনায় সাম্প্রতিক বছরগুলোয় পিকেএসএফ বিভিন্ন অন্তর্ভুক্তিমূলক সেবা প্রদানের মাধ্যমে এর কার্যক্রমকে বিন্যাস করেছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়ন, প্রসূতির পরিচর্যা, শিশু-কিশোরদের শিক্ষা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, দক্ষতা ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং প্রবীণদের নিয়ে কর্মসূচি পিকেএসএফ-এর অন্তর্ভূক্তিমূলক সেবা কার্যক্রমের উদাহরণ।

আর্থিক উন্নয়নসহ সার্বিকভাবে জীবনের গুনগতমানের উন্নয়নকে বিবেচনায় রেখে মানব মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় উপযুক্ত কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমে বর্তমানে পিকেএসএফ একটি সফল মানব-কেন্দ্রিক উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়েছে। পিকেএসএফ-এর কর্ম-পরিধি বর্তমানে সরকারের চলমান ‘রূপকল্প-২০২১’ এবং ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আ আ//এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি