ঢাকা, সোমবার   ২০ মে ২০২৪

সমুদ্র সম্পদ সুরক্ষায় হচ্ছে কোস্টগার্ড ডকইয়ার্ড

রিজাউল করিম

প্রকাশিত : ২২:৪১, ২৯ মে ২০১৮ | আপডেট: ১৮:৩৪, ৫ ডিসেম্বর ২০২০

আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে নির্ধারিত হয়েছে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা। নতুন করে বাংলাদেশ জয় করেছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গ কিলোমিটার সমুদ্র এলাকা। যা প্রায় আরেকটা বাংলাদেশের সমান। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনীতির অনেকাংশ সমুদ্র সম্পদের ওপর নির্ভরশীল। এরই ধরাবাহিকতায় ব্লু ইকোনমিতে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করেছে। এই বিশাল সমুদ্রে সম্পদ আহরণে সুরক্ষার ও নিরাপত্তার মূল দায়িত্ব কোস্টগার্ডের ওপর। কিন্তু এই নিরাপত্তা বিধানে যে পরিমাণ নৌযান দরকার, তার স্বল্পতা রয়েছে। একই সঙ্গে বিদ্যমান নৌযান রক্ষণাবেক্ষণ তথা নতুন নির্মাণে কোস্টগার্ডের নিজস্ব কোনো ডকইয়ার্ড নেই।   

এই অবস্থায় কোস্টগার্ডের জন্য আলাদা ডকইয়ার্ড নির্মাণে ৪৪৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দিচ্ছে সরকার। মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় মেঘনা নদীর তীরে কোস্টগার্ডের নিজস্ব জমিতে এটা স্থাপন করা হবে।

বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রদত্ত দুটি পুরনো জাহাজ দিয়ে এই বাহিনীর যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে কোস্টগার্ড বাহিনীতে ১৩টি জাহাজ এবং ১০০টি বিভিন্ন ধরনের নৌযান রয়েছে। এছাড়া আরও দুটি অফসোর পেট্রোল ভেজেল, ৭টি ইনশোর পেট্রোল ভেসেল, ২২টি ফাস্ট পেট্রোল ভেসেল, ১টি ফ্লোস্টিং ক্রেন এবং ২টি টাগ বোট নির্মাণাধীন রয়েছে। এছাড়া কোস্টগার্ড বাহিনীর জন্য ১৬টি নৌযান নির্মাণের অনুমোদন রয়েছে। কিন্তু কোস্টগার্ড বহিনীর জাহাজ বা বোট সমূহ নির্মাণে মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো ডকইয়ার্ড নেই।  

বর্তমানে নৌবাহিনীর ডকইয়ার্ড ব্যবহার করে নৌযান মেরামত ও সংস্কার করা হচ্ছে। এতে ব্যয় হচ্ছে বছরে প্রায় ১০-১২ কোটি টাকা। একই সঙ্গে নৌবাহিনীতে নতুন জাহাজ ও সাবমেরিন যুক্ত করায় কোস্টগার্ডের জাহাজগুলোর রক্ষাণাবেক্ষণের জন্য আলাদা ডকইয়ার্ড নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।

এ প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের জন্য লজিস্টিকস ও ফ্লিট মেইনটেইন্যান্স ফ্যাসেলিটিস গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনে এসেছে। প্রকল্পাটি আগামী জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে। অনুমোদন পেলে ২০২১ সাল নাগাদ এ প্রকল্প যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও গণপূর্ত অধিদফতর। পুরো টাকা বরাদ্দ দেয়া হবে সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন থেকে।

আরকে//এসি   

 


Ekushey Television Ltd.





© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি